Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাউজান গর্জনিয়া ফাজিল( ডিগ্রী) মাদ্রাসা,২৩ বছরেও পায়নি নতুন ভবন,শ্রেণী কক্ষ অপ্রতুল

রাউজান(চট্টগ্রাম)উপজেলা সংবাদাতা | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৪৯ পিএম | আপডেট : ৯:৪৭ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রাউজান হলদিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া রহমানিয়া ফাজিল(ডিগ্রী)মাদ্রাসাটি এলমে দ্বীনের আলো জ্বালাচ্ছে ১৯৭৭ সাল থেকে।অঁজপাড়া গায়ের এ শিক্ষা প্রতিষ্টানটিতে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থী মিলে প্রায় ৬শ উপরে ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে।বিগত ২৩ বছরেও নতুন অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি সরকারের তরফ থেকে।তবে সে হিসাবে শ্রেণী কক্ষ অপ্রতুল।এলাকার সূফি সাধক হযরত সৈয়দ পীর আবদুল গফুর মাস্টার শাহ্ (রহঃ) ১৯৭৭ সালে গ্রাম পর্যায়ে এলমে দ্বীন সহ নানাবিদ শিক্ষার আলো জ্বালানোর নিয়্যতে এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্টা করেন।বেড়া ও মাঠির কক্ষ দিয়ে চালু করা এ মাদ্রাসাটি পর্যায়ক্রমে স্থানিয়দের দানে প্রথমে মাঠের পুর্ব পাশে একটি সেমি পাকাতে উন্নীত হয়।পরবর্তি প্রবাসীদের সহযোগিতায় সেটি দুতালা করা হয়।সেখানে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।২০০০ সালের ২ রা নভেম্বর বর্তমান রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় একতালা একটি ভবন উদ্বোধণ করেন তৎকালীন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি।মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আলহাজ্জ আল্লামা আবু তৈয়ব হামিদী জানান বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে,হেফজ খানা চালু হয়েছে,নূরানী বিভাগ চালু রয়েছে,এতিম ছাত্রদের থাকা খাওয়া বরন পোষণ,পুরুষ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি,নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে,তবে শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণী কক্ষ অপ্রতুল।তিনি আরো বলেন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে শিক্ষার্থীরা আধুনিক পদ্বতিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষন নিচ্ছে।তিনি আরো জানান আমি এই মাদ্রাসায় যোগদানের আগে থেকেও অত্র মাদ্রাসায় একটি ৪তালা আইসিটি ভবন নির্মানের দাবী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর। অনেক বছর ধরে সরকারী ভাবে আর কোন ভবন পায়নি অত্র মাদ্রাসা।অধ্যক্ষ জানান আমার বাড়ী রাউজান নাহলেও আমি শুনেছি এবং দেখেছি রাউজানের মাননীয় এমপি সাহেবের কাজের প্রতি আন্তরিকতা।আশা রাখি এমপি সাহেবের সহযোগিতায় সরকার আমাদের মাদ্রাসায় একটি ৪ তালা আইসিটি ভবনের জন্য বরাদ্ব দেবেন।জানাগেছে বিগত কয়েক বছর আগে মাদ্রাসার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ আবু নাছের চৌধুরী (দুলাল) এর নেতৃত্তে সর্বমহলের সহযোগিতায় দৃষ্টি নন্দন একটি একতালা ভবন নির্মান করা হয়।সে ভবনের দুতালা ভবনটির কাজ সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসেন সে মাদ্রাসার ছাত্র প্রবাসী আলহাজ্জ মাওলানা ওসমান তালুকদার।সেটির কাজ সম্পন্ন হওয়ায় মাদ্রাসাটি মোটামোটি নতুন সাজে রুপ নিয়েছে।রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও জেলা পরিষদের সহযোগিতা মাঠের পশ্চিম উত্তরে একটি একতালা এতিম খানা ভবন নির্মান করা হয়।এসবের পরও হেফজখানা,এতিমখানার শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে লেখা পড়া ও রাত যাপন করতে হয়।গভর্নিং বডির সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা এস এম বাবর বলেন মাদ্রাসায় একটি ভবন অতিব জরুরী।আমরা এমপি মোহদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলেছি।আশা রাখি অচীরেই আমরা ভবন পাবো।মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্জ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আহছান হাবিব ইনকিলাবকে বলেন মাদ্রাসায় যেই হারে ছাত্র-ছাত্রী বাড়ছে আমাদের ভবন অবশ্যই প্রয়োজন।তিনি বলেন প্রায় স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় ভবন পেয়েছে আমরা পায়নি।মাননীয় সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী সাহেব লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনেক আমূল পরিবর্তন এনেছেন রাউজানে।তিনি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করে দৃষ্টি নন্দন করে পেলেছেন।আশারাখি অত্র মাদ্রাসার প্রতি তাঁর সু-দৃষ্টি থাকবে।ইনশাল্লাহ আমরাও একটি আইসিটি ভবন পাবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ