Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলা ভারত ভুটান নেপাল কানেকটিভিটি ভারতের উদ্যোগ : ভুটানের ‘না’

উপ-সম্পাদকীয়

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান : কিছু দিন আগে দক্ষিণ এশিয়ার ৪টি দেশের কানেকটিভিটি সম্পর্কে একটি ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি আমাদের পত্রপত্রিকায় তেমন গুরুত্ব পায়নি। কোনো কোনো পত্রিকায় ছোট করে খবরটি ছাপা হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় পত্রিকায় সেই খবর বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। খবরটি হলো, ভুটান ভারতের উদ্যোগে উত্থাপিত মোটরযান চুক্তি স্বাক্ষরে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। চুক্তিটির নাম হলো বিবিআইএন চুক্তি। বিবিআইএনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। ভুটানের এ সিদ্ধান্তে সার্ক-সংশ্লিষ্ট সব দেশেই বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এতদিন ভুটান ভারতের একটি ‘তাঁবেদার’ রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত ছিল। প্রায় ৭০ বছরের জীবনে ভারতের কোনো সিদ্ধান্তে ‘না’ বলার সাহস ভুটানের হয়নি। সেই দেশটিই কিনা এবার ভারতের এই উদ্যোগে ‘না’ বলেছে, যে উদ্যোগকে অনেকেই দেখছেন সার্কের পাল্টা একটি উদ্যোগের সূচনা হিসেবে। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক সমস্ত ভারতীয় উদ্যোগের প্রধান সমর্থক হচ্ছে ভুটান। এর আগে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কানেকটিভিটির একটি উদ্যোগ ভারত গ্রহণ করে। কিন্তু পাকিস্তান সেই উদ্যোগ বা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। ফলে আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ভারতীয় উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়। তখন ভারত উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বা যোগাযোগের উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালকে জড়িত করার চেষ্টা নেয় ভারত। সেই উদ্যোগের নাম দেয়া হয় বিবিআইএন। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত এবং নেপাল এই ৪টি দেশের ইংরেজি নামের আদ্যাক্ষর সমবায়ে গঠিত বিবিআইএন। পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে উপ-আঞ্চলিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ ভারত নিয়েছিল সেই ঐক্য প্রচেষ্টা প্রচন্ড হোঁচট খেল।
এই উপ-আঞ্চলিক মোটর যান চুক্তিটির খসড়া প্রথম অনুমোদিত হয় গত বছরের জুন মাসে। খসড়ায় আশা প্রকাশ করা হয় যে, এর ফলে সদস্য ৪টি দেশের মধ্যে বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। চুক্তিবলে সদস্য দেশসমূহের একে অপরের মাঝে কার্গো এবং যাত্রীবাহী যান চলাচল করবে। এসব দেশ ছাড়াও তৃতীয় কোনো দেশ বা একাধিক দেশের মধ্য দিয়েও এসব যান চলাচল করবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এই প্রকল্পকে নরেন্দ্র মোদির প্রিয় বা পোষা বিদেশনীতির প্রকল্প হিসেবে দেখতে শুরু করেছিলেন। এসব কার্গো বা প্যাসেঞ্জার যান ভারতের ‘বিদ্রোহকবলিত’ সাত রাজ্যের মধ্য দিয়েও যাতায়াত করবে।
ভারত অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশের নিকট থেকে যে ট্রানজিট বা করিডোর চাচ্ছিল সেটির উদ্দেশ্য ও বিবিআইএনের উদ্দেশ্য মোটামুটি এক। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারতকে সেই ট্রানজিট দিয়ে ফেলেছে। অতঃপর ভারত বিবিআইএনের মোড়কে একই ট্রানজিট অবশিষ্ট দুটি দেশের নিকট থেকে চাচ্ছিল। বিবিআইএনে রয়েছে ৩০টি সড়ক প্রকল্প। সেসব প্রকল্পের অর্থায়ন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার (৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। যে খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে সেটি চূড়ান্ত করতে গেলে শর্ত রাখা হয় যে, প্রকল্প শুরু করার আগে ৪টি সদস্য রাষ্ট্রের চূড়ান্ত অনুমোদন লাগবে। সেই অনুমোদনেই বাধ সাধলো ভুটান।
দুই.
একমাত্র ভুটান ছাড়া অবশিষ্ট সমস্ত দেশ বিবিআইএনের খসড়া অনুমোদন করেছে। ভুটান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটি যখন প্রথম উথাপিত হয় তখন তারা সেটি প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু যখন দ্বিতীয়বার উথাপিত হয় তখন সেটি পাস করা হয়। কিন্তু যখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে উত্থাপিত হয় তখন মাত্র দুজন সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেন, ১৩ জন বিপক্ষে দেন এবং ৫ জন ভোটদানে বিরত থাকেন। উচ্চকক্ষে এই ভোটাভুটির ফলে বিলটির ভবিষ্যৎই শুধু নয়, বিবিআইএনের ভবিষ্যৎও হুমকির মুখে পড়েছে। এই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দানে ব্যর্থতার ফলে এই অঞ্চলে দিল্লির কৌশলগত স্বার্থ মার খেয়েছে। পার্র্লামেন্টের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান সোনাম সিঙ্গা বলেন, পার্লামেন্টের আইনবেত্তারা মনে কেরন যে, এত বিপুল পরিমাণে বিপুল বিদেশি যানের চলাচলের ফলে ভুটানের মতো একটি ছোট দেশে অপরাধের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এর চূড়ান্ত পরিণতিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর যদি বিরূপ প্রভাব পড়ে তাহলে বিস্মিত হওয়ার কিছুই থাকবে না। দেশটি চতুর্দিকে স্থল বেষ্টিত। তেমন একটি ছোট দেশে বিদেশি যানবাহনের চলাচল পরিবেশ দূষণ সমস্যার সৃষ্টি করবে। ভুটানের রাস্তাঘাটের সংখ্যা খুবই কর। অককাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাও অপ্রতুল। কম রাস্তায় অধিক সংখ্যক ভারী যানবাহন চলাচল করলে ভুটানের সবুজ শ্যামলিমা বিনষ্ট হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার একশ্রেণির বিশেষজ্ঞের মতে, ভুটানের এসব ভয় অমূলক নয়। শান্তির দেশ ভুটান। যে চারটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর ভুটান দাঁড়িয়ে আছে তার অন্যতম হলো পরিবেশ সংরক্ষণ। অপর তিনটি স্তম্ভ হলো- টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের উন্নয়ন। ভুটানের রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হলো পর্যটন শিল্প। দেশটি অত্যন্ত যতেœর সাথে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। অভিজাত পর্যটকদের গন্তব্য হলো ভুটান। দেশটি দাবি করে যে তারাই হলো একমাত্র হিমালয়ের ভূস্বর্গ। একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভুটানে প্রতি পর্যটকের খরচ দৈনিক ২৫০ মার্কিন ডলার। অবশ্য ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটকদের বেলায় বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা আছে। শুধুমাত্র যে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে তা-ই নয়, ভুটানি কর্তৃপক্ষ মনে করে যে, এই চুতর্দেশীয় কানেকটিভিটি প্রকল্পে ভুটানের কোনো অর্থনৈতিক বেনিফিট নেই। ভুটানের ট্রাক মালিক এবং চালকরা দাবি করেন যে, এই ছোট দেশটি দিয়ে এত বিপুলসংখ্যক বিদেশি গাড়ি-ঘোড়ার চলাচল তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য নষ্ট করবে।
ভারত সব সময় বলে আসছে যে, তার দেশে সব সময় নিরাপত্তা সংকট লেগেই আছে। সেই সংকট যেমন ভেতর থেকে সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি বাইরে থেকেও আসছে। বিদেশি রাষ্ট্রের অবাধ যান চলাচলের ফলে ভারতের সাত রাজ্যের বিদ্রোহীরা ভুটানে ঢুকে পড়তে পারে। এখন চতুর্দিকের চাপে তারা হয়তো শান্ত এবং নিষ্ক্রিয় আছে। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের যানবাহন যখন নেপালে  অবাধে চলাচল করবে তখন যানবাহনের চলাচলের সাথে সাথে এসব বিচ্ছিন্নতাবাদীর চলাচলও বেড়ে যাবে। প্রসঙ্গত, তারা ২০০৩ সালের ঘটনা স্মরণ করেন। তখন আসামের উলফা গেরিলারা ভুটানে গোপনে অনুপ্রবেশ করে। তাদের বিতাড়িত করা বা ভারতীয়দের ভাষায় ফ্লাশ আউট করার জন্য ভারতীয় বাহিনী ভুটানের অভ্যন্তরে অভিযান চালায়। উলফা গেরিলাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী যে অভিযান চালায় সেই অভিযানে অনেক নির্দোষ ভুটানি নিহত হয়। ভারতের একশ্রেণির মিডিয়ায় এ মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, ভুটানের এই অস্বীকৃতির ফলে এই অঞ্চলে নরেন্দ্র মোদিকে যে সিমলেস কার্গো চলাচল ব্যবস্থা (Seamless cargo passageway) নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন সাময়িকভাবে হলেও ধূলিস্মাৎ হলো।
পর্যবেক্ষরা আরও স্মরণ করেছেন যে, ভারত ভুটানের কূটনৈতিক স্বাধীনতার ওপরও হস্তক্ষেপ করেছে। এর আগে মি. থিনলে যখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন ভুটান গণচীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বেইজিংয়ে দূতাবাস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ভারত সেই প্রতিষ্ঠায় বাধা দেয়। ফলে সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। নেপালের মতো ভুটানও চীনের সাথে বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। ফলে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থিনলে ভারতের বিরাগভাজন হন। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ভুটানের রান্না করার তেল আসে ভারত থেকে। প্রধানমন্ত্রী থিনলে যখন চীনের সাথে বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন তখন ভারত সেটি প্রতিহত করার জন্য পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভুটানে রান্না করার তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। শুধু তেল সরবরাহই নয়, সেই তেল রপ্তানির ওপর ভারত ভর্তুকিও দিত। সেই ভর্তুকিও বন্ধ করা হয়। অর্থনীতির ওপর এমন একটি চাপ বহন করার মতো ক্ষমতা ভুটানের নেই। সুতরাং চীনের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভুটান নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়। ভুটানের রাজার সাথে প্রধানমন্ত্রী থিনলের সম্পর্ক ভালো ছিল। কিন্তু ভারত চাচ্ছিল থিনলের পতন। তাই পরবর্তী নির্বাচনে ভারত হস্তক্ষেপ করে। ইলেকশনকে ম্যানুপুলেট করে। ফলে সেই নির্বাচনে থিনলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হন। থিনলে সরকারের পতন ঘটে। ভারত যা চেয়েছিল তা-ই ঘটে যায়। এসব কথা বলার পরেও বিবিআইএনে যোগদানে অস্বীকৃতি জানিয়ে ভুটান বিশ্ববাসীর কাছে এই বার্তা দিয়েছে যে, একটি ছোট স্থল পরিবেষ্টিত দেশও তার বিশাল প্রতিবেশীর ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে ক্ষেত্র বিশেষে ‘না’ করতে পারে। ভুটানের এই উদাহরণ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য ছোট দেশের চোখ খোলার জন্য যথেষ্ট।
তিন.
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়েছে। যা হবার তা-ই হয়েছে। বিপুল ভোটাধিক্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। যেটা ধারনা করা হয়েছিল বিএনপি প্রার্থী তাই বলেছেন। বলেছেন যে, ভোট প্রদানের অনেক ক্ষেত্রেই নাকি কারচুপি হয়েছে। আমি এই মুহূর্তে ঢাকা থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করছি। আবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্র শহর নেলসন বে তে অবস্থান করছি। আমি যে ‘সি রিসোর্টে’ আছি সেখানে ওয়াইফাই কানেকশন তথা ইন্টারনেট কানেকশন নেই। ফলে বাংলাদেশের খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও যেসব বাংলাদেশি সিডনি এবং ক্যানবেরায় বাস করেন তাদের কারো কারো সাথে কথা বলেছি। তাদের মনোভাব তুলে ধরছি। তবে তাদের যে মনোভাব সেটি হলো, বিএনপি তো জেনেশুনেই ইলেকশনে গেছে। গত বছরের এপ্রিল মাসেও তারা সিটি কর্পোরেশনসমূহের ইলেকশনে অংশ নিয়েছিল। ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশনের ইলেকশনের দিন মাঝ বেলায় তারা ইলেকশন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। মাত্র এক বছর আট মাসের কথা। জনগণের মেমোরিতে এখনও সেসব ঘটনা তাজা আছে। তাই আর রিপিট করতে চাই না। এবারও বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে। আগেই তারা বলেছিল যে, মাঝপথে তারা সরে দাঁড়াবে না। এবার সেটাই তারা করেছে এবং সেটি একটি ভালো কাজ হয়েছে। নির্বাচনে কারচুপি হবে, সে আশঙ্কাতে বিএনপি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল। সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তার পরেও বিএনপি ইলেকশনে থেকেছে। এগুলো করে তারা ভালোই করেছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ইলেকশন ২০ দলীয় জোট বয়কট করেছিল। বয়কট করে নাকি তারা মস্ত বড় ভুল করেছিল। সরকার পক্ষ যখন তখন এই কথাই বলে। এবার অন্তত সেই কথা বলার সুযোগ সরকারি দল পাবে না। তবে এবার বিএনপিকে একটি বিষয় নতুন করে ভাবতে হবে। জয়দেবপুর, সিলেট, রাজশাহীসহ ৫টি পৌর নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করেছিল। কিন্তু তারা বেশি দিন মেয়র থাকতে পারেননি। দায়িত্ব গ্রহণের কিছু দিন পরেই তাদেরকে বরখাস্ত করা হয় এবং কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এসব কাহিনীও সকলে জানেন। বিএনপি তথা বিরোধী দল যদি সত্যি সত্যি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় তাহলে তাদেরকে সেটি আদায় করে নিতে হবে। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সেটি সম্ভব নয়। সেটি করতে হলে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু জনদাবির ফলেই। তেমন জনদাবি সৃষ্টি করতে হবে। সেজন্য তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের কাছে কীভাবে যেতে হয় সেটা তারা  জানেন। সেই তরিকাই অবলম্বন করতে হবে।



 

Show all comments
  • apu ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৯:২৪ এএম says : 0
    এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য সব চাইতে লাভজনক । ভূটান , সেভেন সিস্টার এবং নেপালের সমস্ত অথবা বেশী ভাগ পন্য আমরা গভীর সমূদ্রবন্দর দিয়ে পরিবহন করবো । বাংলাদেশ সরকারের এই ব্যপারে জরুরী উদ্দোগ নেওয়া উচিৎ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ