Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাজুক অবকাঠামো

নাঙ্গলকোটে অবহেলিত শিক্ষাব্যবস্থা : ব্যাহত হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম

সায়েম মাহবুব, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

নাঙ্গলকোট উপজেলার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত অবস্থান একেবারেই নড়বড়ে। দীর্ঘদিনেও উন্নয়নের কোন ছোঁয়া না লাগায় দুর্বল কাঠামো বর্তমানে ক্ষণভঙ্গুরে গিয়ে দাড়িয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে চলছে পাঠদান। আধুনিক শিক্ষা তো দূরের কথা নেই কোন আধুনিকাতার ছোঁয়া।
দক্ষ জনবল-ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাল শিক্ষার্থীর উপচেপড়া ভিড় থাকলেও আধুনিক শিক্ষাসামগ্রী উন্নত ল্যাব, ব্যাহারিক পরীক্ষাগার, কম্পিউটার ল্যাব না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে কলমে শিক্ষা হতে বঞ্চিত। সরকারি সুযোগ-সুবিধা সমুহ ঘুরে ফিরে একই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক হওয়ায় বঞ্চিতরা বরাবরই পুরোনো তিমিরেই রয়ে গেছেন। এ দিকে উপজেলা পরিষদ হতে কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণীত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠান সমূহ দেখভাল পদ্ধতির আওতায় আসছেনা। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ভারপ্রাপ্ত দ্বারা পরিচালিত। এছাড়াও স্থানীয় কোন্দল, অপপ্রচার জিঘাংসা চরিতার্থ করার অভিপ্রায় কমিটি বিরোধ শিক্ষক রাজনীতি জনিত কারণে প্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষাবিষয়ক প্রতিযোগিতা নেই। বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, বির্তক প্রতিযোগিতা, সাধারণ জ্ঞানের আসর আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কিংবা স্থানীয় খেলাধুলা আর প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায়না। ২/৪ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলেও কোন্দলে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম আর অবহেলার অভিযোগ। এসব নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। জেলা শিক্ষা অফিস কিংবা শিক্ষা বোর্ড বছরে একবার কোন প্রতিষ্ঠান ভিজিট করেন কিনা সন্দেহ। প্রতিষ্ঠান সমূহে মাঠ ভরাট আসবাব পত্র, কক্ষ সঙ্কট, অংক ইংরেজি তথ্যপ্রযুক্তিসহ ভাল শিক্ষকের অভাব লক্ষণীয়, কিন্তু এ সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সরকারি কর্তাদের সুপারিশ ও উদ্যোগ সন্তোষজনক নয়।
শ্রীহাস্য দাখিল মাদরাসার বিদ্যোসাহী সদস্য শাহদাত হোসেন জানান, মাদরাসার বয়স ৪০ বছর হলেও অদ্যাবদি কোন সরকারি সাহায্য মিলেনি। একটি ভবনের অভাবে পাঠদান ও আসবাবপত্র সংযজনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একই অবস্থা শ্যামপুর দাখিল মাদরাসা, নাঙ্গলকোট মনোয়ারা মাইমুদা দাখিল মাদরাসা, গোমকোট দাখিল মাদরাসা, চান্দাইশ দাখিল মাদরাসা, পঁ‚জকরা চড়িয়া আলিম মাদরাসা, নাঙ্গলকোট শিশুকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়, নাঙ্গলকোট জুনিয়র স্কুল, নাঙ্গলকোট কারিগরি কলেজ, কান্দাল জমিরুল আখতার দাখিল মাদরাসা, নাঙ্গলকোট সংস্কৃত কলেজ। শ্রীকামতা দাখিল মাদরাসা, পেড়িয়া হাই স্কুল। পাটোয়ার ফাজিল মাদরাসা, বাংগড্ডা বালিকা আলিম মাদরাসা, রহিমপুর জুনিয়র স্কুল, মন্নারা সালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়, আইটপাড়া মাদরাসাসহ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত খুবই দুর্বল।
এ প্রসঙ্গে নাঙ্গলকোট উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভবন উন্নয়নের ক্ষেত্রে নাঙ্গলকোট উপজেলা আশপাশের উপজেলা সমূহের তুলনায় এগিয়ে।
অবকাঠামোগত দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। এসাথে এত প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের আওতায় আনা দুরহ ব্যাপার। আশা করছি দ্রæত তালিকাভ‚ক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নের আওতায় আসবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ