Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পীরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ

পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের চতরা নীলদরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে পকেটস্থ করেছেন তিনি। প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ, প্রধান শিক্ষক গত ৩০ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মেহগনি গাছ স্থানীয় মানিক মিয়া নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি সংক্রান্ত কোন তথ্যই জানেন না কমিটির সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় ও আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসীন্দারা জানান, বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের মসজিদ সংলগ্ন সিঁড়ির পাশে বিশালাকার একটি মেহগনির গাছ বিক্রি করে দেন। অভিযোগে আরও প্রকাশ, অতি সম্প্রতি স্কুলের পাশেই বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের গাছও তিনি বিক্রি করে পকেটভারী করেছেন। বিদ্যালয় থেকে গাছ বহনকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অটোচালকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্কুল থেকে গাছের কাটা অংশগুলো চতরা বন্দরের পীরগঞ্জ সড়কে রাজু চেয়ারম্যানের চাতালে গাছটি রেখে এসেছি। বর্তমানে গাছটি ওখানেই রয়েছে। খোঁজ খবর নিতে গিয়ে কথা হয় ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি সুমনের সাথে। সুমন জানায়, বর্নিত স্থানে একটি মেহগনি গাছ ছিল। আরও কিছু জানতে হলে হেড স্যারের সাথে কথা বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা হলে কেউই মুখ খুলতে রাজী হননি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের গাছপালা বিক্রি বিষয়ে আমার কোনো তদারকি নেই এটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেখবেন বলেই ফোন কেটে দেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেকেন্দার আলী বলেন ওখানে একটি গাছ ছিল। হেড মাষ্টার তা কেটেছে কিনা আমাকে জানায়নি। চতরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, গাছ কাটার সংবাদ শুনেছি। তবে কে কেটেছে তা বলতে পারবো না। যেই গাছ কাটুক অবশ্যই তা ঠিক করেনি। প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মশিউর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি পুরো তথ্য অস্বীকার করে বলেন- আমার বিদ্যালয়ে গাছই নেই, কাটবো কি ? ওখানে কোনো গাছই ছিলোনা বলে সাফ জবাব দেন। উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে তড়িঘড়ি করে কর্তনের জায়গাটি বালু দিয়ে ঢেকে দিয়ে ছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছ বিক্রি করেছে এ রকম একটি তথ্য পাবার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মন্ডল জানান, খুব শীঘ্রই ইউএনওর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ