Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুণ্ডে আগুনে ১১ টি বসতঘর পুড়ে ছাই,সব হারিয়ে নিঃস্ব ১১ পরিবারের লোকজন

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম )উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৩ পিএম

সীতাকুণ্ডে পৌরসদের ইদিলপুর গ্রামে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টার এই অগ্নিকাণ্ডে কলোনির ১১ টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সাথে পুড়ে গেছে বসতঘরে থাকা নগদ টাকা এবং আসবাবপত্র। এতে আগুনের ভয়াবহ দাবানলে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে কলোনিতে বসবাস করা ১১ টি ভাড়াটিয়া পরিবার। আজ( ২৯ জানুয়ারি) রোববার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসদরস্থ ইদিলপুর এলাকার ভূঁইয়া বাড়ি সংলগ্ন এডভোকেট সরোয়ারের কলোনিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে এদিন বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন । এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান আজ দুপুর বেলায় রিক্সাচালক রুহুল আমিনের রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মহুত্বের মধ্যে আগুনের লিলিয়ান শিখায় কলোনির সবকটি বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসেন। তবে তার আগেই আগুনে কলোনির সবগুলো বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার সাথে পুড়ে যায় বসতঘরের সমস্ত আসবাবপত্র এবং নগদ টাকাও। এতে দশ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। অপর দিকে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের সহযোগিতায় অন্যদিকে ছড়িয়ে পড়ার আগেই টানা দেড় ঘন্টা প্রচেষ্টাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনের সূত্রপাতের পর ভাড়াটিয়া রাজিয়া বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়। একিভাবে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কলোনির তত্ত্বাবধায়ক সুমন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া ১১ টি পরিবার বর্তমানে রয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো.নুরুল আলম দুলাল বলেন,আমরা ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে আগুনের তীব্রতায় কলোনির ১১ টি বসতঘর পুড়ে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা আমাদের । এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রোববার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এই সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতি পরিবারকে পুনরায় ঘর নির্মাণে টিন ও অর্থসহায়তা দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ