Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শীতে কাঁপছে নদী তীরের মানুষ মিলছে না পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : পৌষের শীতে উত্তরাঞ্চলের সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর, কামারখন্দ, উল্লাপাড়া, বগুড়ার সোনাতলা, ধুনট ও সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা, বাঙালি ও ইছামতি নদীপাড়ের মানুষগুলো এবার পৌষের শীতে কাঁপছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। এলাকার ৭৫ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। ১৫ ভাগ মানুষ ভূমিহীন। প্রতিনিয়ত তাদের ভাগ্যের সাথে লড়াই-সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে যাদের ঘুম হারাম এ শ্রেণীর মানুষের জন্য পৌষের দিনগুলো এখন অতিক্রম করা যেন পাহাড় সমতুল্য। বাঙালি, ইছামতি ও যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মসলিমপাড়ার এলাকার সামাদ আলী (৫৩), পলাশপুরের আব্দুল মালেক (৪৮), মেঘাই এলাকার আয়নাল হক (৪৮), শুভগাছা এলাকার আমির হোসেন (৫৫), হাসনাপাড়া এলাকার মোজাম প্রামাণিক (৬৫), ফজলু মিয়া (৮০), হেনা বেগম (৬৫), রানীরপাড়া এলাকার মহসিন আলী প্রামানিক (৭৫), মহব্বতের পাড়া এলাকার জরিনা বেওয়া (৮০) জানান, নিজের পেটের অন্নই জোটে না। এই পৌষের শীতে গরমের কাপড় দেবে কে? সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দরিদ্র, হতদরিদ্র, ভূমিহীন শ্রেণীর লোকজনের মধ্যে ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রায় ১০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পিআইও একেএম শাহ আলম মোল্লা জানান, কাজিপুরে ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে ২ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও শফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল সরকার, কাজিপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান টিএম আতিকুর রহমান নান্নু, চালিতাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল। বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী চাইল্ড ফেয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ছাত্র ও যুবকদের সংগঠন সহায়তা এবং সহায়তার উদ্যোগে শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ গাজী সাইদুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন চাইল্ড ফেয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক কামরুল ইসলাম চন্দনী। বগুড়ার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক বগুড়ার কৃতী সন্তান মঈনুল ইসলাম খান এবং তাঁর সহধর্মিণী বরেণ্য কষ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ১০০শ’ পিস কম্বল বিতরণ করেন। ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারিভাবে ১০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ব্যক্তিরাও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের কাজ শুরু করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ