প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
একসময় রাজবাড়ী জেলায় ২০টি সিনেমা হল ছিল। এখন তা কমতে কমতে ৩টিতে এসে ঠেকেছে। এই তিনটিও নিয়মিত নয়। দর্শক বুঝে খোলা হয়। সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজবাড়ীর সদর উপজেলায় একসময় ৬টি, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৬টি, পাংশা উপজেলায় ৪টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৩টি এবং কালুখালী উপজেলায় ১টিসহ ২০টি সিনেমা হল ছিল। বাকি ১৭টি সিনেমা হলের ভবন ভেঙে গড়ে তোলা হয়েছে বিপণি বিতান, গ্যারেজ, গোডাউন ও আবাসিক ভবন। জেলার সবচেয়ে বড় সিনেমা হল ‘বসুন্ধরা’ মালিক পক্ষ বিক্রি করে দিয়েছেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলায় অবস্থিত সাধনা সিনেমা হল, কালুখালী উপজেলায় বৈশাখী এবং গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে মনোরমাসহ ৩টি সিনেমা হল এখন সচল রয়েছে। এসব সিনেমা হল ঘুরে দেখা যায়, শো চলার নির্ধারিত কোনো সময় নেই। দর্শকদের চাহিদার উপর নির্ভর করে মাঝে মধ্যে একটি-দুটি শো চালানো হয়। মাসের বেশি ভাগ সময়ই এসব হল বন্ধ থাকে। দর্শক সংকটের কারণে যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে হলগুলো। সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার জন্য হল মালিকরা দায়ী করছেন স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট, মানহীন সিনেমা ও বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনকে। তারা জানান, নব্বই দশক পর্যন্ত সিনেমা হলগুলোতে উপচেপড়া ভিড় থাকতো। ২০০০ সালের পর থেকে হল বিমুখ হতে শুরু করে স্থানীয় দর্শকরা। তাদের ধারণা, পরিবারের সবাই মিলে দেখার মতো মানসম্মত ও শিক্ষণীয় সিনেমা তৈরি হলে দর্শকরা আবারো হলমুখী হবেন। মনোরমা সিনেমা হলের মালিক তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, রাজবাড়ীতে অনেক সিনেমা হল ছিল। কিন্তু লোকসান গুনতে গুনতে একসময় সিনেমা হলগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। এখন সদরে মাত্র একটি সিনেমা হল আছে; সেটিও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে মানসম্মত সিনেমা না থাকা, হলগুলো উন্নত না হওয়া, স্মার্ট ফোন, ফেসবুক, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন বিষয় এর জন্য দায়ী। তবে সরকার আন্তরিক হলে মালিকরা পুনরায় সিনেমা হলগুলো চালু করতে পারেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া মধুমতি সিনেমা হলের মালিক নায়েব আলী শেখ বলেন, দর্শক না হওয়ায় ১২/১৩ বছর আগে আমাদের সিনেমা হলটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। একসময় সিনেমা হলের ব্যবসা খুব ভালো ছিল। ৪টি শোয়ে মানুষের ভিড় থাকতো। এখন আর কেউ বিনোদন নিতে সিনেমা হলে আসেন না। গোধূলী সিনেমা হলের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন মনে করেন, অনেক আগেই সিনেমা হলের ব্যবসা শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু কাগজে-কলমে এই ব্যবসা রয়েছে। একটা সময় ছিল, যখন মুক্তির পূর্বে নতুন সিনেমা বুক করতে হতো। এখন নতুন-পুরান কোনো সিনেমাই দর্শক দেখেন না। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, মোবাইল ফোন। যখন যা ইচ্ছে তাই এই ডিভাইসে দেখতে পাচ্ছে মানুষ। ফলে দর্শক কেন সময় নষ্ট করে বস্তাপচা বিনোদন নিতে হলে আসবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।