Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশি সিনেমা আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন ডিপজল

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:৩৩ এএম

অনেকদিন ধরেই দেশে বিদেশি সিনেমা, বিশেষ করে ভারতীয় সিনেমা চালানোর চেষ্টা চলছে। হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শনে হল মালিকদের মধ্যেও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে ‘পাঠান’ মুক্তি নিয়ে হিন্দি ছবির আমদানি বিষয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়। সাফটা চুক্তির আওতায় ‘পাঠান’ বাংলাদেশে মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষে বিভিন্ন বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খল অভিনেতা ডিপজল।

হিন্দি সিনেমা আমদানি করলে ঢালিউড ধ্বংসের মুখে পড়বে জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘একটি চক্র আমাদের চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা দেখেছি, হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেওয়ার ফলে নেপালের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কিভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটির সমৃদ্ধ সিনেমা হিন্দি সিনেমার কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের দেশে যদি একের পর এক হিন্দি সিনেমা চালানো হয়, তাহলে আমাদের চলচ্চিত্রও ধ্বংস হয়ে যাবে। নেপালের ফিল্মের মতো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দি ছবি মুক্তি পেলে আমাদের নিজস্ব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলতে কিছু থাকবে না। আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতিতে আঘাত করবে। যদিও হিন্দি সিনেমা চালিয়ে দর্শকদের সাড়া পাওয়া যায়নি। তারপরও হিন্দি সিনেমা আমদানির পায়তারা আমাদের ফিল্মের ধ্বংস ডেকে আনবে। দর্শক আমাদের দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির সিনেমাই দেখতে চায়। ইতোমধ্যে ‘হাওয়া’, ‘পরান’সহ আরও বেশ কিছু সিনেমা দিয়ে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। সিনেমাগুলো কোটি কোটি টাকা ব্যবসা করেছে। যে সিনেমা হলের সংখ্যা ৪০-৫০ এ নেমে এসেছিল, এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়েছে। অনেকে এখন সিনেমা নির্মাণ করছেন।”

ডিপজল আরও বলেন, যদি হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে চলচ্চিত্রকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য আমরা যারা একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করছি, তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের মুখে পড়বে। কাজেই, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং আমাদের দেশের সিনেমা বাঁচাতে বিদেশি সিনেমা আমদানি বন্ধ করতে হবে। আমি নিজেও হল চালিয়েছি। আমি জানি, দর্শক কি ধরনের সিনেমা দেখতে চায়। তারা আমাদের দেশের গল্প ও শিল্পীদের অভিনয়ের সিনেমা দেখতে চায়।’

উল্লেখ্য, সাফটা চুক্তির আওতায় আগামী ২৭ জানুয়ারি ‘পাঠান’ সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি পাবার কথা শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তির অনুমতি না পাওয়ায় সেদিন মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে কিছুদিন পরে সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তির সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু চলচ্চিত্রের শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা ও প্রযোজকদের অনেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন। তারা বলছেন, এতে আমাদের চলচ্চিত্র পিছিয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে। শিল্পী, প্রযোজক ও নির্মাতারা পথে বসে যাবেন। এছাড়া, আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ