রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
‘বেঁচে থাকতে দিনে দুপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ কেউ দখল করবে এটা দেখব কখনো ভাবিনি। এসব দেখার আগে মরে যাওয়া ভাল ছিল। এজন্য স্বাধীনতা আনিনি। শেষ ইজ্জতটুকু বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে নেক্কার জনক আর কোন কাজ হতে পারে না। যারা মুক্তিযুদ্ধের ‘সম্মুখ সমর’ স্মৃতি স্তম্ভ দখল করছে তাদের ধিক্কার জানাই। আর সরকারের কাছে অনুরোধ করব অতিবিলম্বে দখলদারদের উচ্ছেদ করে বিচারের আওতায় আনা হোক। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা শেষ ইজ্জতটুকু নিয়ে মরতে চাই।’
রাগে ক্ষোভে কথাগুলি বলছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর খন্দকার ও মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর ফোরাম আশুগঞ্জ উপজেলার সারাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. আব্দুল করিম। আশুগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ ‘সম্মুখ সমর’ অবৈধ দখলদাররা দখল করছে দেখে তারা এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন দৈনিক ইনকিলাবের সাথে।
সরেজমিনে আশুগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ পরিদর্শন করে জানা যায়, উপজেলা চরচারতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমান ও ছয়জন মেম্বারের নেতৃত্বে দু’জন মুক্তিযুদ্ধার কাঁধে ভর করে আশুগঞ্জ গোলচত্ত¡র অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ ‘সম্মুখ সমর’ দখল করছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তা দেয়াল, তৈরি করা হচ্ছে পাকা অবকাঠামো। ফলে পরিবর্তন হচ্ছে স্মৃতি স্তম্ভের মূল অবকাঠামো। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দখলদার চরচারতলা ইউপি মেম্বার আবুল কালাম জানান, আমাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম ও মোজাম্মেল হক গোলাপ পার্টনার রয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে দোকান ও কফি সপ করা হবে।
এ ব্যাপারে কথা বললে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. আব্দুল করিম জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নের নামে এটা একটি প্রতারণা। দখলদাররা সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে জাতিকে অপমান করে তাদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে এবং সরকারকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখানোর চেষ্টা করছে। এ কাজে আমাদের কোন সহযোদ্ধা থাকলেও এইটা জাতির সাথে ও শহীদের সাথে বেইমানি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ দখল হচ্ছে জেনে একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম জানান, জায়গাটি আমাদের তাই আমরা দখল করছি। তবে মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর খন্দকারসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা জানান জায়গাটি সরকারি। আর যে কারো জায়গায়ই হোক কোন স্মৃতি স্তম্ভের অবকাঠামোতে হাত দেওয়ার কারো এখতিয়ার নাই।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়াম্যান হানিফ মুন্সিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নিজেই। তার চোখের সামনে এই সব কি করে হচ্ছে!!
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার অরবিন্দ বিশ্বাস বাপ্পি জানান, বিষয়টি আমি এ মাত্র জানতে পারলাম। দ্রæতই দখলদারদের উচ্ছেদ ও কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া হবে। দখলের বিষয়ে চরচারতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে জানা যায় তিনি চিকিৎসা জনিত কারণে ভারতে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।