ময়মনসিংহের তারাকান্দায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার মিসকাত বিভাগে পড়ুয়া এক কিশোরী আত্নহত্যা করেছে।কিশোরী বালিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা উর্মী(১৬) উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের কেন্দুয়া গ্রামের মতিউর রহমানের কন্যা।

২৭ জানুয়ারি(শুক্রবার) ১১ টায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে উর্মী।সন্ধ্যায় উর্মীর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

জানাগেছে,উর্মীর বাবা মতিউর রহমান একজন সিএনজি চালক।তিনি চট্টগ্রামে থাকেন।এদিকে উর্মীর মা আজ অসুস্থ আত্নীয়কে দেখতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।বাড়িতে একা অবস্থান করছিলো উর্মী।এমতাবস্থায় উর্মীর মা মেয়ের খোঁজখবর নিতে ভাসুরের ছেলেকে ফোন করেন।সেখানে সারা না পেয়ে তিনি উর্মীর জেঠীর ফোনে ফোন করেন।ফোন পেয়ে তিনি উর্মীর খবর নিতে তার ঘরে যান।সেখানে তিনি দরজা জানালা বদ্ধ দেখতে পান।এরপর দেখা যায় উর্মীর ঝুলন্ত মরদেহটি।এই ঘটনায় তারাকান্দা থানা পুলিশে খবর দিলে আনুষ্ঠানিকতা শেষে থানা পুলিশের এসআই শামসুর রহমান উর্মীর লাশটি থানায় নিয়ে আসেন।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে উর্মী ইতিপূর্বে একাধিকবার আত্নহননের চেষ্ঠা করেছে বলে আত্নীয়দের কাছ থেকে জেনেছেন তারা।

এই বিষয়ে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আত্নহত্যাকারী কিশোরীর মরদেহটি থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি আগামীকাল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।