প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের অভিভাবক মা হতে পারবেন বলে সম্প্রতি রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এমন রায়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে শোবিজের অনেক তারকা এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদেরই একজন ঢাকাই সিনেমার নতুন প্রজন্মের চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু। পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের মা হতে চেয়েছেন তিনি
সোশ্যাল মিডিয়ায় মিতু লিখেছেন, ‘আমি সারাজীবন সিঙ্গেল থেকেই সন্তান দত্তক নিতে চাই। আমার সন্তান আমার পরিচয়েই বড় হবে। একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। হাইকোর্টের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’
মিতুর সেই পোস্টে নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘এখানে জন্মদাত্রী মায়ের কথা বলা হয়েছে আপু, দত্তক নেওয়া মা না। আর এই আইনটা শুধু তাদের জন্যই প্রযোজ্য, যাদের বাবার পরিচয় নেই। অর্থাৎ বিবাহ বহির্ভূতভাবে সম্পর্কের পর যদি কোনো নারী সন্তান প্রসব করে এবং সেই সন্তানের বাবা কে, সেটা না জানা যায়, সে ক্ষেত্রেই সেই সন্তান মায়ের পরিচয়ে বড় হবে। অর্থাৎ বায়োলজিক্যাল বাবা যদি না থাকে তাহলে বায়োলজিক্যাল মায়ের পরিচয়ে সন্তান বড় হবে। কিন্তু দত্তক নেওয়া মা তো আর কখনও বায়োলজিক্যাল মায়ের মত হবে না।’
তার সেই মন্তব্যের জবাবে মিতু লেখেন, ‘আমি এমন সন্তানই নিবো, যার বাবা-মা কে, সেটা কেউই জানবে না। হয়তো বাবা-মার ফেলে যাওয়া কোনো সন্তান। যার আমি ছাড়া কেউ নেই। সমস্যা ছিলো, সরকারি কাগজে অভিভাবকের ঘরে বাবার নাম লেখাটাই বাধ্যতামূলক, মায়ের নাম লেখা যেতো না। যখন সরকারিভাবে কোনো বাচ্চাকে দত্তক নিব, তখন আমিই তার মা। এখানে বায়োলজিক্যাল বা দত্তক মা আলাদা নয়। পরিবর্তনতো হলো অন্তত। বাকিটা সামলানোর যোগ্যতা, মেধা কিংবা ধৈর্য্য সবই আল্লাহর রহমতে আমার আছে।’
আরেকজনের মন্তব্যের জবাবে নায়িকা জানান, ‘মিডিয়ায় প্রথম দত্তক নেওয়ার কথা বলেছিলাম ২০১৭ সালে, সায়েম সালেকের শো’তে। সেখানেই বলেছিলাম, ছোটবেলায় যখন প্রথম সন্তান দত্তক নেওয়ার কথা শুনেছি, তখন থেকেই আমার দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা। সিনেমায় এসেছি ক’দিনই বা হলো? সিনেমার পাবলিসিটিতো দূর, নিজের পাবলিসিটি করার জন্যও কোনো সস্তা অভিনয় আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না।’
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) অভিভাবক হিসেবে মাকে স্বীকৃতি দেওয়া সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে জারিকৃত রুল যথাযথ ঘোষণা করে, এ রায় দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এখন থেকে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা, পাসপোর্টসহ সব ধরনের ফরম পূরণে অভিভাবক হিসেবে বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবকের নাম উল্লেখ করা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।