বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানল নিরস্কুশ জয়লাভ করেছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫টি পদের মধ্যে ১৩টি পদেই জয়ী হয়েছেন বিএনপি প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে মাত্র ২টি পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানলের প্রার্থীরা।
দীর্ঘদিন পর চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটলো আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের। দলীয় কোন্দলকে এই পরাজয়ের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অনেকে। এছাড়া প্রার্থী বাছাইয়ে দুর্বলতা ছিল বলেও মনে করেন কেউ কেউ।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং রিটানিং কর্মকর্তা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে বিএনপি সমর্থিত সমমনা আইনজীবী ঐক্য প্যানেল মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. এ.টি.এম মোস্তফা কামাল ১৮৬ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাড. এ.জেড.এম রফিকুল হাসান রিপন ১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে ৩০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করেন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আইনজীবী সমিতির দোতালায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৪০ জন। এর মধ্যে ৩৩৪ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে সভাপতি পদে এ.টি.এম মোস্তফা কামাল ১৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. মজিবুর রহমান ভুঁইয়া পয়েছেন ১৪০ ভোট। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ১৮৩ ভোট পেয়ে মো. তৌহিদুল ইসলাম তরুণ নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. আবদুল ছাত্তার পেয়েছেন ১৪৬ ভোট। জুনিয়র সহ-সভাপতি পদে ১৮০ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ কাইউম মোল্লা নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আবু সোহেল চৌধুরী পেয়েছেন ১৪৭ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮১ ভোট পেয়ে এ.জেড.এম রফিকুল হাসান রিপন নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৪৪ ভোট। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ সিদ্দিকী মাছুম ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবদুল মান্নান মিয়াজী পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। সম্পাদক ফরমস পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে মো. কাইয়ুম হোসেন সুমন নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. নুরুল আমিন খান পেয়েছেন ১৫১ ভোট।
সম্পাদক লাইব্রেরী পদে ১৭৩ ভোট পেয়ে মো. শাহজাহান খান নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সালমা আক্তার পেয়েছেন পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সম্পাদক সমাজকল্যাণ ও সেমিনার পদে ১৬৯ ভোট পেয়ে রেজাউর রহমান শাওন নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিশ^জিৎ কর রানা পেয়েছেন পেয়েছেন ১৪৯ ভোট। জেনারেল অডিটর পদে ১৭৮ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পরাজী পেয়েছেন ১৪৯ ভোট।
রানিং অডিটর পদে ২০৫ ভোট পেয়ে জাবির হোসেন নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাসুদ রানা পাটওয়ারী পেয়েছেন ১১৭ ভোট। চেয়ারম্যান রেজিস্ট্রারিং অথরিটি পদে ১৭৪ ভোট পেয়ে মো. আবুল হাসানাত বেপারী নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন (২) পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সম্পাদক রেজিস্ট্রারিং অথরিটি পদে ১৬১ ভোট পেয়ে মো. মামুন হোসেন মিয়াজী নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তৌহিদ আহম্মেদ পাটওয়ারী পেয়েছেন ১৫৫ ভোট।
সদস্য রেজিস্ট্রারিং অথরিটি পদে তিনজন। ১৫৫ ভোট পেয়ে মাহবুব আলম নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তাছলিমা আক্তার পেয়েছেন ১৪০ ভোট। ১৬৬ ভোট পেয়ে রিয়াদ হোসেন (মুনতাসির) নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি রোজিনা বেগম পেয়েছেন ১৫২ ভোট। ১৭৭ ভোট পেয়ে মো. সানজিদ হাসান (সানি) নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল হোসেন পেয়েছেন ১৪৩ ভোট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।