Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার বরিশালে দক্ষতাভিত্তিক কারিগরি শিক্ষার প্রসারে সচেতনতা কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:২২ পিএম

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতামূলক একটি প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এর লক্ষ্য দুটো : উচ্চশিক্ষার উপযোগী হিসেবে কারিগরি শিক্ষাকে-কে সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলা; এবং কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে যাদের নেতিবাচক ধারণা আছে, তাদের মধ্যে এর সাফল‌্যরে গল্প বা কাঙ্খিত ফলাফল তুলে ধরে মনোভাব পরিবর্তন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-র স্কিলস-২১ প্রকল্প এ কর্মসূচির কর্মকৌশল, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তা দিচ্ছে। ‘কারিগরি দক্ষতায় সমৃদ্ধি’ শীর্ষক এ কর্মসূচি প্রথমে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প সহযোগী কারিগরি শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এরপর তা বিভাগীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে এটি দেশের সবগুলো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাÐ ও ডিজিটাল প্ল্যাটফরম : এই তিনটি স্তরে এই কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। স্থানীয় পর্যায়ে কর্মকাÐের মধ্যে ছিল হটস্পট কর্মসূচি ও মাইকিং ইত্যাদি। কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে সরাসরি তথ্য ও বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৭০০-৯০০ মানুষের কাছে।

পোস্টার, বুকলেট , তথ্য বোর্ড ও নানা ধরনের ঘোষণার মাধ্যমে সংযুক্ত করা গেছে আরও বিভাগের আরও অসংখ‌্য জনগোষ্টীকে।

টিভেট সচেতনতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫ জানুয়ারী বরিশালে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট-এ একটি ক‌্যাম্পাস ওপেন ডে আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিল ক‌্যারিয়ার ওয়ার্কশপ, দক্ষতা উন্নয়নের জন‌্য ওয়ার্কশপ, দক্ষতার প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা, জব ফেয়ারের মতো নানা অয়োজন ।

প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী ক‌্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করেন। ক‌্যারিয়ার ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছিলো আরও প্রায় ৭০ শিক্ষার্থী। বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফিতা কেটে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক জনাব মো. ইসরাইল ক‌্যাম্পাস ডে উদ্বোধন করেন।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক মো. ইসরাইল তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এই অঞ্চলের সাথে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারনে এই অঞ্চলে শিল্পায়ন শুরু হচ্ছে। আর তাই আমাদের প্রয়োজন এখনই চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা ।

দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ ও উপকারিতা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে উন্নত কর্মসংস্থান ও জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানোই ছিল প্রধান উপজীব্য। অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপনের পর যেসব শিক্ষার্থী বেকার বসে আছেন, সেই তরুণদের বিবেচনায় রেখেই এ কর্মসূচি সাজানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ