Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাবিতে আর্কিটেকচারের স্থাপত্য বিষয়ক এক্সিবিশন সেমিনার সম্পন্ন

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার: | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের আয়োজনে স্থাপত্য প্রদর্শনী, ও আইডিয়া-কনটেস্ট বিষয়ক সবচেয়ে বড় কো-কারিকুলাম ইভেন্ট ডি-এক্সপো-৭ সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে ৭ম বারের মতো আয়োজিত এ আসরের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সমাপনী পর্বে একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভাগের মোট ১৮ জন শিক্ষার্থীকে বার্ষিক ‘ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড’ এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪ জনকে ‘ডিজাইন কম্পিটিশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। ডি- এক্সপো-৭ নামের এই আয়োজনে প্রতি বছর বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী স্থপতি এবং নির্মাতাদের কর্মশালা, সেমিনার, আইডিয়া-কনটেস্টের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্টুডিওর বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন করা হয়। এবারের প্রদর্শনীতে আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪৫ টি প্রজেক্ট এবং ২০ টি ডিজিটাল আর্ট ও স্কেচ প্রদর্শন করা হয়। আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে উন্মুক্ত প্রদর্শনী, সেমিনার ও সমাপনী সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এর আওতায় গত ২৩-২৪ জানুয়ারি দুইদিন ব্যাপী শাবির মুক্তমঞ্চের পেছনে নব-নির্মিত ফুডকোর্টে বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ডিজাইন প্রজেক্ট, চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য ও আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। গত মঙ্গলবার সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে ডি-এক্সপো’র সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী পর্বে বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো: মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও স্থপতি প্রফেসর শামসুল ওয়ারেস এবং প্রধান অতিথি হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। প্রফেসর শামসুল ওয়ারেস তাঁর বক্তব্যে স্থাপত্য তৈরিতে স্থান ও সময়ের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যৎমুখী স্থাপত্য তৈরিতে অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ডিজাইন এর প্রদর্শনী দেখার, শাবির স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাজের মানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাজ বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবে। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্কুল অব এপ্লাইড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী পর্ব শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ডিজাইন কম্পিটিশনে কুয়েট শিক্ষার্থী রাফিদ আহমেদ প্রথম, বুয়েট শিক্ষার্থী অনিক চন্দ দ্বিতীয় ও শাবি শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান চৌধুরী তৃতীয় এবং অনারেবল মেনশন হিসেবে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এছাড়া আর্কিটেকচার বিভাগে একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য থিসিসসহ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের মোট ১৮ জন শিক্ষার্থীকে অ্যওয়ার্ড দেয়া হয়।
দুই পর্বে মোট চার দিনব্যাপী এ আয়োজনের প্রথম পর্ব ‘স্থাপত্য বিষয়ক কর্মশালা’ আর্কিটেকচার বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৯-২০ জানুয়ারি প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া সামাজিক গবেষণামূলক সংগঠন ‘প্ল্যাটফর্ম অফ কমিউনিটি অ্যাকশন অ্যান্ড আর্কিটেকচার’-এর পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘লেট’স ডিজাইন ফর পিপল: ডেভেলপিং টুলস ফর কোক্রিয়েশন’ শিরোনামের ডিজাইন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর স্থপতি আরিফুর রহমানের সমন্বয়ে আর্কিটেকচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো: মুস্তাফিজুর রহমান কর্মশালার উদ্বোধন করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ