Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি আবশ্যক- ডিসিসিআই সভাপতি

সালমান এফ রহমান-ঢাকা চেম্বার বৈঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:১৫ পিএম

এই অস্থির বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশে স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজুলর রহমান, এমপি-এর সাথে ডিসিসিআই পরিচালনা পরিষদের সৌজন্য সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ব্যারিস্টার সাত্তার সালিস আইন ২০০১, দেউলিয়া বিষয়ক আইন ১৯৯৭ এবং কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর উল্লেখযোগ্য সংস্কারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে সংশোধনী আনতে হবে যাতে করে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে সহজে বাণিজ্যিক চুক্তি কার্যকর করতে পারে এবং যেকোনো বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত সমাধান করতে পারে। ব্যারিস্টার সাত্তার একটি পৃথক ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপনের জন্যও তাগিদ দেন যা চুক্তি প্রবলের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে পারে এবং দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি বিচারাধীন বাণিজ্যিক বিরোধের জট কমাতে পারে। দেউলিয়া আইন কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য এবং ব্যবসা বান্ধব করার জন্য সংস্কার প্রয়োজন যাতে করে দুর্বল কোম্পানিগুলো বন্ধ না হয়ে যায় এবং এই সকল কোম্পানিগুলোকে কার্যকর পদ্ধতিতে পুনর্গঠন করা যায়। এর ফলে, এটি বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে। একই সঙ্গে আইন গুলো সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নত দেশ থেকে আন্তর্জাতিক মান গ্রহণ করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে অতিদ্রুত একটি সমন্বিত ও কার্যকর ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস)’ কার্যক্রম চালুরও দাবী করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। ওএসএস-এর সাথে সংযুক্ত সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে বিডা’র ওএসএস-এ আবেদন করার পরে বিনিয়োগকারীদের আলাদাভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেতে না হয়। এটি নিঃসন্দেহে বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

ডিসিসিআই সভাপতি আরো গুরুত্বারোপ করে বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং একটি সুদৃঢ় বেসরকারিখাত তৈরির উপরও মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।

 

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এমপি বলেন, করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশি^ক অর্থনীতি একটি সংকটকালীন সময় অতিক্রম করছে। এই পরিস্থিতিতে, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবাহ বাংলাদেশের কাঙ্খিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি স্থাানীয় ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর জোরারোপ করেন।

বিডা’র ওএসএস সেবার বিষয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে সহায়তার লক্ষ্যে স্থাানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সমন্বিত এবং কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ওএসএস কে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিডা’র প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে, জিডিপিতে রাজস্বের অবদান বাড়াতে তিনি রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে করজাল সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী সহ পরিচালনা পরিসদের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ