Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মেঘনায় অলস পড়ে আছে কর্ণফুলী ও সন্ধ্যামালতী ফেরি

মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দেশের অন্যতম প্রধান নদী মেঘনাতে অলস অবস্থায় পড়ে আছে কর্ণফুলী ও সন্ধ্যামালতী ফেরি। সূত্রে জানা যায়, গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জের সাথে যানবাহন চলাচলের জন্য ২০১৮ সালে মেঘনা নদীতে প্রথম ফেরি সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া উপজেলাধীন ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড হতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত সড়ক তৈরির সরকারের রয়েছে মহাপরিকল্পনা। উদ্বোধনের পর ২/১টি ছোট প্রাইভেট কার পারাপারের কিছু দিনের মধ্যেই সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের নভেম্বরের প্রথম দিকে আবার পুনরায় ফেরি সার্ভিস চালু হয়। ফেরি সার্ভিস ইউনিট গজারিয়ায় মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া ফেরি সার্ভিসের যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করে ঘাটে ঝুলিয়ে রাখেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এতে রয়েছে বড় বাস, কোচ, মিনিবাস, কোস্টার, বড় ট্রাক, লরি, ট্যাংকার, ছোট ট্রাক, ছোট লরি, মাইক্রোবাস, এম্বুলেন্স, হিউম্যান হলার, পিকআপ, স্টেশন ওয়ানগান, ল্যান্ডক্রুজার, স্কাউট জাতীয় গাড়ির, বড় জিপ, পেট্রোল জাতীয় লরি, জিপ, কার, বেবিট্যাক্সী, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, লুজ যাত্রী ভাড়া (যানবাহনে আরোহী নয়) যথা উচ্চ শ্রেণি ও সুলভ শ্রেণি। এতে সর্বোচ্চ ভাড়া ১২০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ১০টাকা রয়েছে।
ফেরি কর্ণফুলী আনা হয় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া হতে এবং সন্ধ্যামালতী আনা হয় বরিশালের ভোলা লাহাড়া হতে। ফেরি কর্ণফুলীর ইনচার্জ (মাস্টার) মমিন মোল্লা বলেন, দুই মাস আগে এখানে এসেছি। পারাপারের গাড়ি ২/১টি আসলেও তা আসা-যাওয়ায় পুষে না। একবার নদীটি পার হতে ৪০ মিনিট সময় লাগে এবং তেল লাগে ৩০ লিটার। প্রতি টিপে ৮/১০টি গাড়ি পারপার করতে পারলে খরচ পুষানো যেত। যানবাহন কম আসার কারণে জানতে চাইলে তিনি জানান, বেশির ভাগ যানবাহনই বন্দরের সেতু দিয়ে নারায়ণগঞ্জ হয়ে মুক্তারপুর সেতু দিয়ে চলে যায়। তাছাড়া নদীর পূর্বপাশে গজারিয়ার কাজীপুরা ঘাটে নাব্যতা কম, ড্রেজিংয়ের কাজ ধীরগতি। এ ব্যাপারে ফেরি সার্ভিস ইউনিটের প্রান্তিক অধিক্ষক গজারিয়ার দায়িত্বে সত্যজিত বলেন, পানি কমে গেছে ড্রেজিং চলছে, তাই বর্তমানে গাড়ি আসছে না।
ফেরিঘাট সংলগ্ন কাজীপুর গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধা মোস্তফা বলেন, প্রথম দিকে ১/২টি ট্যাক্সি, পিকআপ আসতো। এখন আর আসেনা। সরকারি কিংবা বিয়ের গাড়ি বহর এলে মোবাইল করে ফেরি এনে পারাপার হতে হয়। একই গ্রামের আহম্মদ বলেন, গাড়ি আসে ফেরি না পেয়ে ফিরে যায়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ