পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশোধনে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল করেছে কিনা তার তদন্ত করতে আরেকটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, বইয়ের ভুল যা আছে সব সংশোধন করা হবে। আমরা দুটি কমিটি গঠন করেছি। প্রথম কমিটি সংশোধন নিয়ে কাজ করবেন। দ্বিতীয় কমিটি আমাদের নিজেদের মধ্যে কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে। আগামী রোববারের মধ্যে কমিটি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানানো হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়াম এই সংবাদ সম্মেলনে ডা. দীপু মনি বলেন, বইয়ের অনেক কারণে এবার সমস্যা হয়েছে। কাগজের মূল্য বৃদ্ধি, লোডশেডিং ইত্যাদির কারণে এই সমস্যা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা একেবারেই খারাপ মানের বই হলে তা ফিরিয়ে নিয়ে বতুন বই দেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের ধর্মীয় ও লিঙ্গ বিদ্বেষ যাতে না থাকে আমরা সেই চেষ্টা করেছি।
আওয়ামী লীগ ধর্মীবিরোধী কিছু করেনি। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ইচ্ছা আমাদের নেই।
তিনি বলেন, আমরা দুটি কমিটি তৈরি করেছি। একটি কমিটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। সেখানে স্বাস্থ্য, ধর্মীয়, পেশাগত বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে যে কোনো মতামত দিতে পারবেন। বিশেষজ্ঞ কমিটি তা যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করবে। কোথাও ভুল থাকলে নিশ্চয়ই সংশোধন করা হবে। কারো কোনো অস্বস্তি থাকলে তা বিবেচনায় নেব।
দীপু মনি জানান, আরেকটি কমিটি…। এনসিটিবিতে কেউ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু করে থাকলে তা তদন্ত করে কারো গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেব।
আগামী রোববারের মধ্যে কমিটি দুটির বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বই প্রাপ্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামীকাল বুধবারের (২৫ জানুয়ারি) মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে দেয়া হবে। এরপরও কোন প্রতিষ্ঠান কতোটি বই পাননি তার তথ্য চাওয়া হবে। এরপর এসব প্রতিষ্ঠান কেন বই পেলো না, এটি প্রেসে ছাপানোর কথা ছিল সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও সচিবব্রন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।