Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘অপারেশন জ্যাকপট’ নির্মাণের কার্যক্রম স্থগিত, হাইকোর্টে রিট

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:৪১ পিএম

মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর পরিচালিত ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নিয়ে সিনেমা নির্মাণের টেন্ডারের সব কার্যক্রম তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নির্মাণের আগের কার্যক্রম বাতিল করে এবং নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের রচিত চিত্রনাট্য অগ্রাহ্য করে টেন্ডারের মাধ্যমে কিবরিয়া ফিল্মস নামের প্রতিষ্ঠানকে ওই সিনেমা নির্মাণের জন্য দেয়া কার্যাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

জানা গেছে, সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর ওপর সিনেমা নির্মাণের জন্য কিবরিয়া ফিল্মসকে দেয়া প্রদত্ত কার্যাদেশ বাতিল চেয়ে জনস্বার্থে রিট করা হয়। চিত্র পরিচালক আবু রায়হান মো. জুয়েল এ রিট আবেদন দায়ের করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার আসিফ বিন আনোয়ার।

আবু রায়হান মো. জুয়েল বলেন, ‘একজন সাধারণ মানুষ বলেন বা একজন পরিচালক বলেন নিজের বিবেকের তাড়নায় আমি রিটটি করেছি। আমি মনে করেছি দেশের বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার আগে অনেক বার চিন্তা করা উচিৎ ছিলো। এভাবে টেন্ডার করে হুট করেই একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া মানে দেশের জনগণের টাকা জলে ঢালার মতো। তাছাড়া এ কাজটি করতে যে ধরনের গবেষণা দরকার তা ওই প্রতিষ্ঠানের নেই। একই সঙ্গে এই প্রক্রিয়াটিতে মন্ত্রণালয়ের অসাধু লোকও জড়িয়ে আছে। এসবের স্বচ্ছতা প্রয়োজন মনে করেছি আর তাই রিট করেছি।’

এদিকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হতে যাওয়া সিনেমা ‘অপারেশন জ্যাকপট’র পরিচালক নির্বাচনেও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও মোরশেদুল ইসলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টরে পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন নিয়ে সিনেমাটির নির্মাণ তদারকির দায়িত্ব আগে ছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে। সে সময়ে তারা গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে সিনেমাটির চিত্রনাট্য তৈরি ও পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। চিত্রনাট্য তৈরিতে কয়েক বছর কাজও করেন সেলিম।

তবে বছর দেড়েক আগে তদারকির দায়িত্ব পায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ডাকা দরপত্রে ‘যোগ্য’ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে কিবরিয়া ফিল্মস। তারা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুসহ চার জন পরিচালকের নাম প্রস্তাব করেছে। তাদের মধ্যে ঝন্টুর দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দরপত্রে গিয়াস উদ্দিস সেলিমের প্রতিষ্ঠান ‘আশীর্বাদ চলচ্চিত্র’ অংশ নিলেও তারা কাজটি পায়নি। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের অবস্থান ‘নিয়মবহির্ভূত’ উল্লেখ করে আশীর্বাদ চলচ্চিত্রকে বাদ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ