রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
খলিল শিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজায় একদিকে আবাসন কোম্পানীর বালি ফেলে সাধারণ লোকজনের কৃষি ফসলি ও সরকারী খাল বিল দখলে নিচ্ছে অন্যদিকে ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ করেও প্রভাবশালীরা দখলে নিচ্ছে সরকারী খাল। এমনই চিত্র দেখা গেছে রূপগঞ্জ উপজেলার ইছপুরা বাজার এলাকায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারী খাল ও বিলের জমিতে আবাসন কোম্পনী বালি ফেলে নগর বাস্তবায়নের কাজ করছেন বেশ কয়েকটি আবাসন প্রতিষ্ঠান। তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠেছে পূর্বাচল পার্শ্ববর্তী গ্রাম গোয়ালপাড়া, কেয়ারিয়া, ছনি, দক্ষিণবাগ এলাকায় ভুঁইফোর সাইনবোর্ডধারী আবাসন কোম্পানী। অনুসন্ধানের জানা যায়, এসব সাইনবোর্ড সাটানো হয় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের কথিত সমবায় নামে। এসবের নাম দেয়া হয় নীলাচল, আইকন, পূর্বাচল ভিউ, বসুকুঞ্জ সিটি ইত্যাদি। যাদের কোন প্রকার অনুমোদন নেই। তা ছাড়া তাদের নামে আদৌ কোন সমবায় গড়ে উঠেনি। ফলে ভুয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হলেও বালু নদী থেকে আসা কেয়ারীয়ার খালটির স্থানে স্থানে বালু ভরাট করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায়। তারা এসব বালি ফেলে খালের জমিতে বসতভিটে করার চেষ্টা করছেন তারা। ধানী ও নাল জমিকে ভিটে জমি দেখানোর পাঁয়তারা করছেন তারা। বাদ দিচ্ছেন না সরকারী খাল ও তার পাড়। সেচ কাজের জন্য তৈরী করা প্রজেক্ট ক্যানেলগুলোও দখলে নিচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে গোয়ালপাড়া এলাকার বালি ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া বলেন, বালু নদী দিয়ে ট্রলারের মাধ্যমে আনা বালু জমিতে ফেলার সময় খালে গড়িয়ে পড়েছে। তাই এটা খাল দখল নয় বলে দাবী করেন তিনি। এদিকে সাইনবোর্ডধারীর সাইড অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তারা বালু ভরাট বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। সরেজমিন আরো দেখা গেছে ,ছনি এলাকার ব্যস্ততম বাজার ইছাপুরা বাজার এলাকায় দেখা গেছে আরো ভয়াবহ চিত্র। সরকারী খালের জমিতে গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন। এ ভবনের মালিক আনোয়ারের সাথে কথা হলে তিনি দাবী করেন ভবনটির কিছু অংশ খালের জমিতে পড়েছে। তার আরো দাবী বাড়িটি তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জোতের জমিতেই করা হয়েছে। পাশে তার বাড়তি জমি রয়েছে। সেই জমি খালের জন্য ছেড়ে দেবেন বলে জানান তিনি। তবে স্থানীয় সার্ভেয়ার ও সচেতন লোকজনের দাবী এ ভবনটির অর্ধেকই সরকারী খালের জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বাধা দিলে চাঁদাবাজির মামলা দিবে বলে হুমকি দেয়ায় কেউ এগিয়ে আসেনি দখল মুক্ত করতে। প্রশাসনকে ও জানানো হয়নি বলে জানা গেছে। এদিকে কৃষকের ফসল ফলাতে এসব খালের পানি কাজে লাগলেও বালি ফেলে ভরাট করায় ইতোমধ্যে ফুঁসে ওঠতে শুরু করেছে স্থানীয় কৃষকরা। এ বছর ইরি মৌসুমে তাদের জমিতে ধানচাষের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে ওঠছে। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছেন রূপগঞ্জের প্রায় শতাধিক কৃষক পরিবার। স্থানীয় কৃষক মামুন মিয়া বলেন, আমাদের ৩ বিঘা ধানী জমিতের ধান চাষ করে সারা বছরের আহার জোগাই। এখন কেয়ারীয়ার খাল ভরাট করে ফেলায় পানি আটকে আছে। ফলে সামনের মৌসুমে ধান চাষের সম্ভাবনা দেখছি না। ফলে দুশ্চিন্তার শেষ নেই বলে জানান তিনি। এসব বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলাম বলেন, খাল দখলের নেয়ার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।