প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
রবিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে পর্দা নামলো ৯ দিন দিনব্যাপী একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। এদিন জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে অতিথি, জুরি ও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্মাতা, প্রযোজকদের উপস্থিতিতে ঘোষণা করা হয় এবারের উৎসবে বিজয়ী ছবি, তথ্যচিত্র, নির্মাতা, অভিনেতা, অভিনেত্রী ও চিত্রগ্রাহকের নাম। এবারের উৎসবে বাংলাদেশ প্যানোরমা সেকশনে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার জিতে নেয় ‘সাঁতাও’।
গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয় গণ অর্থায়নে নির্মিত খন্দকার সুমন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’। প্রান্তিক মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে নির্মিত ক্রাউড ফান্ডেড সিনেমা ‘সাঁতাও’। ‘সাঁতাও’ সিনেমার গল্পটি কৃষকদের সংগ্রামী জীবন এবং প্রান্তিক পটভূমি থেকে নারীদের সর্বজনীন সংগ্রামকে কেন্দ্র করে। সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি খন্দকার সুমন এর গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন।
এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস ফেডারেশন’র (ফিপরেস্কি) পক্ষ থেকে ৩ জন বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে পুরস্কারের জুরি হিসেবে ছিলেন। তারা হলেন জার্মানির চলচ্চিত্র সাংবাদিক, গবেষক ও লেখক অ্যাক্সেল টিমো পার; ইউক্রেনের চলচ্চিত্র সমালোচক, চিত্রনাট্যকার ও সাংবাদিক এলিনা রুবাশেভসকাজা এবং বাংলাদেশ থেকে থাকছেন লেখক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক বিধান রিবেরু।
পুরস্কার প্রাপ্ত হিসেবে নাম ঘোষণার আগে অ্যাক্সেল টিমো পার মঞ্চে ‘সাঁতাও’ সম্পর্কে বলেন, ‘এমন একটা ছবিকে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছি, যেটি আমরা দারুণ উপভোগ করেছি। এ ছবিতে রয়েছে জলবায়ু বিপর্যয়ের কথা, একটি গরুর বাছুরের জন্য একজন মায়ের ভালোবাসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের টিকে থাকার লড়াই। এ সিনেমাটিতে রয়েছে অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফির কাজ। প্রধান অভিনেত্রীর ন্যাচরাল অভিনয় এবং সংলাপের চেয়ে সিনেমার ভাষার দুর্দান্ত ব্যবহার। পরিচালক স্থানীয় ভাষায় একটি বৈশ্বিক গল্প বলেছেন।’
খন্দকার সুমনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পুরস্কার গ্রহণের সময় আবেগঘণ বক্তব্যে পরিচালক তার পরিবারের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ জুরি বোর্ডের সদস্যদের প্রতি। তারা যেভাবে আমাদের ছবিটির ভাষা পড়েছেন, তা দেখে আমি সত্যি বিস্মিত। একজন শিল্পী বা চলচ্চিত্র নির্মাতার আকাঙ্খা থাকে আমি যা লিখে দিলাম ছবির ভাষায়, সেটা যখন অন্যজন পড়তে পারে তখন মনে হয় ছবিটা সার্থক হলো।’
‘সাঁতাও’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরা ইয়াসমিন, তশমিতা শিমু, মিতু সরকার প্রমুখ। আগামী ২৭ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।