প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের দুই শ কোটি টাকা প্রতারণার মামলায় ফেঁসে গেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও নোরা ফাতেহি। এ জন্য তাদের কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ইডি)। সেইসব জিজ্ঞাসাবাদে সুকেশের নামে নানা অভিযোগ করেছেন তারা। সেগুলো কানে গেছে সুকেশের। আর সেকারণে দিল্লির মান্ডোলি জেলে বসেই চিঠি লিখেছেন তিনি।
সুকেশ চিঠিতে জানিয়েছেন, ‘জ্যাকুলিন আমার থেকে কিছু চায়নি, আমিই ভালোবেসে ওকে সব দিয়েছি। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ সম্পর্কে ও কিছুই জানত না।’ সুকেশের দাবি, কিছুদিন আগেই নোরা আবেদন করেছিলেন যে, জ্যকুলিন তাকে বিনা কারণেই অপমান করছেন। তার সম্মানহানি করতে ও তার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতেই তার নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। কিন্তু তা সত্যি নয়। নোরা চাইতেন, জ্যাকুলিনকে ছেড়ে তিনি যেন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। শুধু তাই নয়, নোরা সুকেশকে দিনে দশ বার ফোন দিতেন।
চিঠিতে সুকেশ লিখেছেন, নোরার অভিযোগ ছিল যে, বিনা কারণেই তাকে অপমান করেন জ্যাকুলিন। এমনকি তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্যই এই মামলায় তার নাম জড়িয়েছেন জ্যাকুলিন। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। ইডিকে দেওয়া নোরার স্টেটমেন্ট এবং ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ে দেওয়া স্টেটমেন্ট সম্পূর্ণ আলাদা। নোরার বিরুদ্ধে এমনই একাধিক অভিযোগ নিজের চিঠিতে লিখেছেন সুকেশ।
সুকেশ আরও জানান, নোরা বরাবরই জ্যাকুলিন এবং তার সম্পর্ককে হিংসা করতেন। একাধিক তার কাছে জ্যাকুলিনকে খারাপও করতে চেয়েছে নোরা। নোরা চেয়েছিলেন, জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে সুকেশ তার সঙ্গে থাকুক। তাকে দিনে একাধিকবার ফোন করতেন নোরা।
নোরাকে দামি গাড়ি কিনে দেন সুকেশ, কারণ তিনি নিজের গাড়ি বদলাতে চেয়েছিল। সেই গাড়ি নিজের বন্ধু ববি খানের নামে নিবন্ধন করেন নোরা। এ সমস্ত কথোপকথনের স্ক্রিনশট ইডিকে ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছেন সুকেশ। নিজের চিঠিতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি।
জ্যাকুলিন প্রসঙ্গে সুকেশ লেখেন, জ্যাকুলিনকে ভালবাসি ও সম্মান করি। ওকে নির্দোষ প্রমাণ করার দায়িত্ব আমার। এই গোটা ব্যাপার থেকে আমি ওকে বের করে নিয়ে আসব। আমার কাছের লোকেদের কাছে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে শুধু আমাকে হেনস্তা করার জন্য। জ্যাকুলিন যা বলেছেন তার পেছনেও কোনো নিশ্চিত কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছে সুকেশ।
তবে নোরা ইডিকে জানিয়েছে, ‘আমাকে সুকেশের স্ত্রী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে একটি ইভেন্টে আমন্ত্রণ করে। সেখানেই আমাকে উপহারস্বরূপ একটি আইফোন, গুচি ব্যাগ ও একটি বিএমডাব্লিউ দেওয়া হবে জানানো হয়। আমি ব্যাগ ও ফোন নিলেও গাড়িটি আমার জামাইবাবুকে দেওয়া হয়। সে ২০২১ সালে আর্থিক কারণে ঐ গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছে।’ ২০০ কোটি রুপি আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। এ সংক্রান্ত মামলার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) চার্জশিট এরইমধ্যে জমা পড়েছে দিল্লি পাটিয়ালা আদালতে।
ইডি বলছে, মামলার প্রধান আসামি কোনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর জ্যাকলিনের জন্য তিন দেশে বাড়ি কিনেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাহারাইন, ভারত। মুম্বাইয়ের জুহুতে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশ বাংলো কিনে অ্যাডভান্সও করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।