Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাকার লোভেই শিশু রনীকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়

| প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বগুড়া অফিস : বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউপির নিভৃতপল্লী ছাতুয়া গ্রামের সরকার পাড়া গ্রামের রায়হান সরকারের ছেলে ও ভূগোইল বেবী গার্ডেন মডার্ন কেজি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র রনী (৭)কে টাকার লোভেই প্রথমে অপহরণ পরে হত্যা করা হয় বলে ঘটনার পরদিন নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যেই এব্যাপারে পুলিশ রনীর ঘাতকদের গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে রনীর অপহরণ ও হত্যাকে ঘিরে গ্রামবাসীদের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা বহাল থাকলেও সংশ্লিষ্ট গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি।
পুলিশ সুত্র জানায়, রনী হত্যাকা-ে সরাসরি গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছাতুয়া গ্রামের ধলু মিয়ার ছেলে জামিল, বাবু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম, মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম ও ফরিদ উদ্দিনের ছেলে আবু তালেদের কেউ বেকারি শ্রমিক কেউবা রিকশা ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এদের মধ্যে বখাটেপনা ও নেশায় আসক্ত রবিউলই টাকার জন্য প্রথমে একাই বুধবার দুপুরের পর রনীকে কৌশলে অপহরণ করে নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছিল। রনীর বাবা এলাকার ধনী মানুষ হওয়ায় এবং রনী তার একমাত্র পুত্র হওয়ায় রবিউলের ধারণা খুব সহজেই টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু শুক্রবার জুম্মাহর নামাজের পর থেকে গ্রামবাসীরা তাকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসা করে সন্দেহ প্রকাশ করলে তাকে রক্ষায় তার বন্ধুদের গ্রুপটি এগিয়ে আসে। এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে তাদের আটক করে প্রহার করা শুরু করলে বাধ্য হয়ে তারা রনীকে প্রথমে অপহরণ পরে হত্যা করে বাড়ির ল্যাট্রিনের সেপটিক  ট্যাংকে বস্তায় ভরে লুকিয়ে রেখেছিল বলে স্বীকার করে। ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। তারা রনীর হত্যাকারী ৪ জনের বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপার ভাইজারদের সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা করার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজারদের বেতন স্কেল ও গ্রেড (১১) অপরিবর্তিত রেখে ‘সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা’ করার দাবি জানিয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপার ভাইজার কল্যাণ সমিতি। গতকাল সমিতির সভাপতি ইসমাইল ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছেÑ চলতি বছর ২৭ অক্টোবর প্র্রধানমন্ত্রীর কাছে পদ পরিবর্তনের জন্য সমিতি লিখিত আবেদন করে।
সমিতির নেতৃবৃন্দ আরো জানিয়েছে, ক্রেডিট সুপারভাইজাররা মাঠ পর্যায়ে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে যুব প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পাশপাশি যুব ঋণ বিবরণ ও আদায়, যুবসংগঠনের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, বৃক্ষরোপণ, স্যানিটেশন, অটিজম সচেতনতা, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ রোধ, মাদকামুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করছে। যৌতুকবিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণে যুব সমাজের মধ্যে আত্মকর্মসংস্থানে উৎসাহ প্রদান তথা যুবসমাজের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সমিতির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে, শুধু পদের কারণে যোগ্যতা থাকার পরও তাঁরা যথার্থ মর্যাদা পাচ্ছেন না। যেমন- জাতীয় নির্বাচনে ক্রেডিট সুপার ভাইজাররা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। অথচ উপজেলা পর্যায়ে তাঁদের চেয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা কম এবং নিম্ন স্কেলভুক্ত কর্মকর্তারা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
তাদের মতে, কর্মকর্তা শব্দটি না থাকার কারণেই ক্রেডিট সুপার ভাইজাররা সরকারি কাজে দায়িত্ব পালনের সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন। সরকার ক্রেডিট সুপার ভাইজারদের দাবি বাস্তবায়ন করলে কোনো আর্থিক ক্ষতি হবে না। সরকারি কাজের স্বার্থে উপজেলা পর্যায়ে যুব কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য ও অন্যান্য দপ্তরের সাথে পদমর্যাদার বৈষম্যের দূরীকরণের স্বার্থে ক্রেডিট সুপার ভাইজার পদটি গ্রেড অপরিবর্তিত রেখে মর্যাদার স্বার্থে সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা করার জন্য দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি জানিয়ে আসলেও তা এখনো বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না বলে জানিয়েছে নেতৃবৃন্দ। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ