বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরে ১৭তম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলার অপর আসামি আবু সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবু সাঈদ পলাতক ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবু সাঈদ জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার পালগড় গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদের সঙ্গে একই উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের বিয়ে হয়। তানজিনা ছিলেন আবু সাঈদের ১৭তম স্ত্রী। পরে তাছকিরা বেগম নামে আরও এক নারীকে বিয়ে করেন। এটি সাঈদের ১৮তম বিয়ে হয়।
ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আবু সাঈদ তার স্ত্রী তানজিনাকে মারপিট করেনে। এতে তানজিনার মৃত্যু হয়। এতে সহযোগীতা করেন নববিবাহিত স্ত্রী তাছকিরা। পরে মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে ফেলে উভয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তানজিনার বাবা তাজিম উদ্দিন।
ওই বছরের ১৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন । ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত বিচার কার্যক্রম শুরু করেন এবং দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ মামলার রায় প্রদান করেন। রায়ে অভিযুক্ত আবু সাঈদকে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং তার ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি তাজিবুর রহমান লাইজু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ কওে বলেন, আবু সাঈদ যৌতুকের লোভী ছিলেন। এজন্য একের পর এক বিয়ে করেছিলেন। যৌতুকের টাকার দাবিতে তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।