Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোরাকে প্রেমিকা বানাতে বাড়ি-গাড়ির লোভ দেখিয়েছিলেন সুকেশ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:০৮ পিএম

২০০ কোটির রুপির আর্থিক প্রতারণার মামলায় সম্প্রতি দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। জ্যাকুলিনের পর সুকেশের বিরুদ্ধে সরব হলেন আরেক অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। তার অভিযোগ, গার্লফ্রেন্ড হওয়ার শর্ত দিয়ে তাকে বিলাসবহুল জীবনযাপন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে নিজের বয়ান রেকর্ড করেন নোরা ফাতেহি। এ সময় নোরা বলেন, অনেকেই দাবি করছেন, মধ্যস্থতাকারী পিঙ্কি ইরানির সাহায্য নিয়ে তিনি সুকেশের কাছ থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিতে চেয়েছেন। তবে আদপে সেটা ঘটেনি, সুকেশ চন্দ্রশেখরই তাকে দামি বাড়ি, গাড়ি থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জীবনযাপন দিতে চেয়েছিলেন, পরিবর্তে গার্লফ্রেন্ড হিসাবে নিজের জীবনে তার সঙ্গ চেয়েছিলেন।

নোরা আরও বলেছেন, প্রথমদিকে আমি সুকেশকে চিনতাম না, ভেবেছিলাম উনি হয়ত এলএস করপোরেশন নামে ওই কোম্পানিতে চাকরি করেন। সুকেশের সঙ্গে আমার কখনো ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল না, ওর কোনো ফোন নাম্বরও আমার কাছে ছিল না। এমনকি আমি কোনদিন সুকেশের সঙ্গে দেখা করিনি।

নোরার দাবি, ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় তার কোনও যোগ নেই। সুকেশকেও তিনি চেনেন না। তিনি শুধুমাত্র এই চক্রের শিকার। যদিও জ্যাকলিনের পাশাপাশি নোরার বিরুদ্ধেও সুকেশের কাছ থেকে দামি গাড়ি, ব্যাগ, হীরে গয়না সব বিভিন্ন দামি উপহার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

নোরা ফাতেহির সাম্প্রতিক বিবৃতিটি দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হওয়ার কয়েক দিন পরে প্রকাশ্যে আসে। চাঁদাবাজির মামলার বিষয়ে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তার বক্তব্য সাক্ষ্য এখন মামলার সাক্ষী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ২১৫ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ মামলায় এখন কারাগারে রয়েছেন অভিযুক্ত আসামি কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর।

একই মামলায় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) পাতিয়ালা হাউস কোর্টে নিজের বয়ান রেকর্ড করেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। তার অভিযোগ, সুকেশ তার ইমোশন নিয়ে খেলেছেন। তাকে ভুল পথে চালিত করে তার ক্যারিয়ার, জীবন বিপর্যস্ত করেছেন। জ্যাকুলিনের দাবি, সুকেশ নিজেকে সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল সুকেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ