Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিলেটে স্ত্রী দাবি করে এক নারীকে নিয়ে দুই ব্যক্তির টানাটানি, হয়েছে হাতাহাতিও

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:২৪ পিএম

সিলেটে এক নারীকে নিজের স্ত্রী দাবি করেছেন দুই ব্যক্তি। তারা দু’জন রাস্তায় সেই স্ত্রীকে নিয়ে করেছেন টানাটানি। হয়েছে হাতাহাতিও। ধবার বিকালে মহানগরের লামাবাজারে আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে প্রথম স্বামী দাবিদার যুবক ওই নারী ও তার ‘দ্বিতীয় স্বামীকে’ ধরে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) এক সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে নিয়ে যান।

জানা যায়, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্দার থানার শাহজাহান মিয়ার মেয়ে আইরিন সুলতানাকে (৩৫) ১৯ বছর আগে বিয়ে করেন চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি থানার বাদিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. খোকন মিয়া (৪৫)। বিয়ের পর একে একে তাদের ঘরে জন্ম হয় চার সন্তানের। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সিলেটে আসেন। পরে ২০১৯ সালের শুরুতে চলে যান মালদ্বীপ। এরপর একপর্যায়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার কাউয়াদি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কবির হোসেনের (৩৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুলতানার।

১৫ মাস আগে সিলেটে কোর্ট ম্যারেজও করে ফেলেন কবির ও সুলতানা। চার সন্তান ও স্বামী খোকনের সংসার ছেড়ে সুলতানা চলে যান কবিরের ঘরে। কবিরের সঙ্গে বিয়ের সময় সুলতানা নিজেকে তালাকপ্রাপ্তা উল্লেখ করেন।

খবর পেয়ে দেশে ফিরে হন্য হয়ে সুলতানাকে খুঁজতে থাকেন খোকন। অবশেষে বুধবার বিকাল ৫টায় সিলেট মহানগরের লামাবাজারে আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনে রাস্তায় সুলতানাকে খোকন পেয়ে যান। এসময় তার বর্তমান স্বামী কবিরও সঙ্গে ছিলেন।

কবির হোসেন দক্ষিণ সুরমার কদমতলির ড্রাইভার রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি। বিয়ের পর সুলতানাকে তিনি আয়েশা মেডিকেয়ারে আয়া’র চাকরি পাইয়ে দেন।

এদিকে, বুধবার বিকালে আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনের রাস্তায় সুলতানা ও কবিরকে পেয়ে পাকড়াও করেন খোকন।

এসময় তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা এবং হাতাহাতি হয়। পরে খোকন ও তার সঙ্গীরা এ দুজনকে ধরে শাহজালাল উপশহরের তেররতনে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় খোকন সন্তান ও তার বোনকে নিয়ে থাকেন।

পরে খোকন বিষয়টি নিয়ে সিসিকের ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকীর দ্বারস্থ হন। লাকি পরে এ তিজনকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরাণ থানাপুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকী বলেন, বিষয়টি জটিল। দুই স্বামী-ই বলছেন বিয়ের প্রমাণ রয়েছে। তাই তিনজনকেই আমি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, তাদের বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ