বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেছারাবাদে স্বাস্থ্য সেবায় যেন এক নতুন ফিরে পাচ্ছে নেছারাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ হাসপাতালে এখন নামমাত্র সরকারি মূল্যে করানো হচ্ছে আলট্রা,ইসিজি,সিভিসি সহ বিশটি টেষ্ট। হাসপাতালের অফিস সময়ে ডাক্তাররা রোগীর কথা শুনে প্রয়োজননুযায়ি হাসপাতাল থেকে দিয়ে থাকেন রোগীদের টেষ্ট। যে টেস্টগুলো রোগীরা হাসপাতাল থেকে সরকারি একটি মূল্য পরিশোধ করে টেষ্টগুলো পেয়ে যান অল্প সময়ে। এ কারনে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসছেন ভিবিন্ন বয়সের রোগী। অথচ কিছুদিন পূর্বে হাসপাতালে রোগীরা এসে রোগ নির্নয়ের সর্ব্বস্ব খুইয়ে কাজের কাজ তেমন কিছু হচ্ছিলনা তাদের। রোগ নির্নয়ের জন্য বাহির থেকে টেস্ট করতে গেলেই আশি টাকার টেস্টে তাদের দিতে হত তিনশত টাকা, একশত দশ টাকার টেস্টে তিনশত টাকা,দুইশত বিশ টাকার টেস্টে গুনতে হত আটশত টাকা। তবে গত এক মাস যাবত সরকারি এ হাসপাতালটিতে এত কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা চালু হলেও আশানুরূপ লোক আসছে না হাসপাতালের ল্যাবে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন পূর্বে এ হাসপাতালে কয়েকটি ছোট খাট টেষ্ট করানো হত। কিন্তু হাসপাতালে বেশ কিছু টেস্টের যন্ত্রপাতি থাকলেও সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও টেকনোলজিষ্ট না থাকায় বলতে গেলে বাক্স বন্ধি ছিল সেসব যন্ত্রপাতি। তাই মানুষ না জানার কারনে বেশির ভাগ লোক বাহির থেকে পরীক্ষা নীরিক্ষা করছেন। তবে, তারা বলছেন পরীক্ষা নীরিক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে লোক বাড়ছে এখানে।
সরেজিমেনে সোমবার সকালে গিয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ল্যাবে গিয়ে দেখা যায়, আলট্রা মেশিন, পাশেই রয়েছে এক্সরেরুম সহ স্বাস্থ্যগত ছোট খাট পরীক্ষার নানান যন্ত্রপাতি। এসময়, আলট্রা করে ভিতর থেকে বাহির হচ্ছিলেন উপজেলার সোহাগদল গ্রাম থেকে আসা ২২ বছরের তিথি নামে এক নারী। তিনি বলেন, পেটে ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয় হাসপাতালে। ডাক্তার রোগের কথা শুনে এ হাসপাতালে ভর্তি দিয়ে। এখান থেকেই মাত্র একশত দশ টাকায় আলট্রা করিয়ে দেন আমাকে। যে আলট্রাটি আমি বাহিরের কোন ডায়াগনস্টিক দিয়ে করলে আমার বিল হত সাতশত টাকা। কথা হয় উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন থেকে আসা ইসমাইল(৬৬) নামে এক রোগীর সাথে। তিনি বলেন, আমি খুব গরীব মানুষ।শরীরের নানা সমস্যা নিয়ে মাজেমধ্যে হাসপাতালে আসতে হয়। হাসপাতালে এসে পূর্বে ডাক্তার রোগ নির্নয়ের জন্য একটা টেষ্ট দিলে বাহির থেকে করতে হত। সেখানে চড়া মূল্য দিয়ে টেস্ট করতে গিয়ে ঔষধ কেনার টাকা থাকতনা। গতকাল শরীরের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসি। ডাক্তার শরীর খারাপ দেখে এই হাসপাতাল থেকে মাত্র আশি টাকায় একটি ইসিজি করিয়ে দিয়েছে। এটা আমার মত গরীবের জন্য একটা সু-খবর।
হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার মো: আসাদুজ্জামান বলেন, এখান থেকে অফিস সময়ে আলট্রা,ইসিজি,রক্তের সিভিসি সহ অনেক টেস্ট সরকারি মূল্য করানো হয়। যে টেস্টগুলো পূর্বে এ হাসপাতালে কখনো ছিলনা। হাসপাতালে আসা রোগী দেখে তাদের রোগের কথা শুনে আমাদের প্রয়োজন অনুসারে রোগীদের টেস্ট দিয়ে থাকি।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, হাসপাতালের ল্যাব পূর্বেও চালু ছিল। তবে আলট্রা, ইসিজি এর পূর্বে কখনও এখানে হতনা। এখন নাম মাত্র সরকারি মূল্যে এখান থেকে বিশটি স্বাস্থ্য টেষ্ট করানো হয়। এটা একটা বড় সাফল্য। গেল এক মাস পূর্ব থেকে হাসপাতালের ল্যাব থেকে আলট্রা,ইসিজি,আরবিএস,সিভিসি,আরবিএস,পেগ্রনেন্সি,হেপাটাইটিস বি,ইউরিন,যক্ষা,ডেঙ্গু,করোনা সহ মোট বিশটি টেষ্ট এখান থেকে সরকারি মূল্যে করানো হয়। তিনি আরো বলেন, একটি প্রেগনেন্সি আলট্রা এখান থেকে করানে হয় মাত্র একশত দশ টাকায়, অথচ সেই আলট্রাটি বাহির থেকে করলে রোগীর খরচ হয় ৬০০ টাকা। আবার এখান থেকে একটি ইসিজি করতে খরচ হয় মাত্র ৮০ টাকা। অথচ সেই ইসিজি বাহির থেকে নেয়া হয় ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। আবার এখান থেকে একটি রক্তের সিভিসি নেয়া হয় মাত্র ১৫০ টাকা মূল্য। অথচ, বাহির থেকে একটি সিভিসির মূল্য নেয়া হয় ৫০০ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।