প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ভালোবেসে ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে বিয়ে করেছিলেন মডেল-অভিনয়শিল্পী মারিয়া মিম। তবে তাদের ভালোবাসার বিয়ে বেশিদিন টেকেনি৷ প্রথম সন্তান আরশ হোসেন জন্ম নেওয়ার কয়েক বছর পরই তাদের সংসারে নেমে আসে অশান্তি। এখন আর এক ছাদের নিচে থাকছেন না তারা। তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটেছে অনেক আগেই। তবে সম্প্রতি সিদ্দিকের কাছে আরশ গেলে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ব্রেন ওয়াশ করেন বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন মিম।
সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে মিম লিখেন, আরশের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কারণে কয়েক দিনের জন্য ওর বাবার বাসায় গিয়েছিল। এটা যেতেই পারে বেড়াতে, স্বাভাবিক। যখন আমি আরশকে বাসায় নিয়ে আসি তখন বোঝা যায় ওকে ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছে। এটা আবার দু-তিন দিন পর ঠিক হয়ে যায়। আবার সবকিছু নরমাল হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আরশ যখন ওই বাসায় যায় তখন ওর মাথায় দেওয়া হয় ১২ বছর হলে তোমাকে কোর্টে নেবে তখন তুমি বলবা বাবার কাছে থাকব। এ সবই এই ছোট বাচ্চাকে বলা হয়। এখন আমার কথা হলো- এত কষ্ট করে বাচ্চা লালন করছি আমি, স্কুলে থেকে শুরু করে সবকিছু ভরণপোষণ আমি করি, আমি বড় করতেছি আর সে বড় করে নিয়ে যাবে ১২ বছর হলে। আমি এখন মামলা দেব যে, বাচ্চা নিয়ে ব্রেন ওয়াশ করে পাঠানো হয়। যখনই বাসায় যায় তখনই এমনটা করে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।
জানা গেছে, মিম এখন এই অভিযোগে সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবেক স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে অভিনেতা সিদ্দিকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে অভিনেতা সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন মারিয়া মিম। পরের বছরের ২৫ জুন তাদের কোলজুড়ে পুত্রসন্তান আসে। ২০১৮ সাল থেকে মডেলিং ও অভিনয় ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছা পোষণ করেন মিম। কিন্তু সিদ্দিক তাতে রাজি হননি। তিনি চাইতেন, ছেলেকে সময় দিক মিম, পাক্কা গৃহিণী হয়েই থাক। এ নিয়ে ঝামেলা বাধে দুজনার। ২০১৮ সালে তারা আলাদা হয়ে যান। বর্তমানে মিমের কাছেই থাকে তাদের একমাত্র সন্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।