বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শীতের সকালে কাঠখড়ি দিয়ে আগুন পোহানো গ্রামের পুরাতন প্রাকৃতিক দৃশ্য। দ্বিতীয় দফার শীতে ফরিদপুর সদর থানার ভাটীলক্ষীপুর এলাকাতেও রবিবার (১৫ জানুয়ারি বিকেলে শীতের হাত থেকে বাঁচতে কয়েকজন যুবক আগুন জ্বালিয়ে পোহানোর দৃশ্য চোখে পড়ছে।
পৌষের শীতে সবাই গরমের পোশাকে জবুথবু। সূর্য ওঠার সঙ্গে-সঙ্গে বাড়ির আঙিনায় সকাল সন্ধ্যায় আগুন পোহানোর দৃশ্য দেখা যায়। প্রচণ্ড শীতে আগুন পোহানোর দৃশ্যটি সবার কাছে পরিচিত, সেটা হলো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন পোহানো। এমন চিত্র শুধু গ্রামেই দৃশ্যমান।
অপরদিক, রবিবার বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার সিএন্ডবি ঘাট যৌনপ্লী এলাকায় খড়-কুটোতে দিয়ে আগুন ধরিয়ে চারপাশে ৮ /১০ জন মিলে আগুন পোহাতে দেখা গেছে । কেউ দাঁড়িয়ে কেউ বসে, যে, যেভাবে পারছেন আগুন পোহাচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহে নাজেহাল অবস্থা সবার। হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় সবাই জবুথবু- শিশু কিশোর, বৃদ্ধ, আবাল বনিতা সবার একই হাল। শীত থেকে বাঁচার সাধ্য কারও নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী এবং শিশুরা। শীতবস্ত্র ও খাবারের সংকটে হাজার-হাজার দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জেলাজুড়ে এক সপ্তাহ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় সকালে কৃষকরা পেঁয়াজ, রসুন ও বিভিন্ন সবজিখেতের জমিতে পরিচর্যা করতে যেতে পারছেন না অগনিত কৃষক।। যার জন্য পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি পরিচর্যার অভাবে জমিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা। বিশেষ করে পিয়াজ ভিক্ষাৎ ফরিদপুর সদর উপজেলা, নগরকান্দা, সালথা,ভাঙ্গা,সদরপুর, চরভদ্রাসন উপজেলা গুলোতে পিঁয়াজ এবং রুসনের ব্যাপক ফলন হয়।
জানতে চাইলে তারা বলেন, আগুন তাপানোর আয়োজনটা সাধারণত করে থাকে শিশুরাই। যদিও সে আয়োজন উপভোগ করে সবাই। তবে আগুন পোহাতে গিয়ে গাঁয়ের মানুষের দুর্ভোগও কম না। প্রায়ই সংবাদপত্রে সে খবর উঠে আসে। পুড়ে দগ্ধ, পুড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয় মানুষের। গত ২ দিন আগে আগুন পোহাতে গিয়ে ভাঙ্গা ও সালথা এলাকায় দগ্ব হয়ে ২ জন মারা গেছে। তারপরও শীতের প্রকোপ সহ্য করতে না পেরে মানুষ আগুন পোহায়।তারা মনে করেন যতক্ষণ আগুলের পাশে থাকা যাবে ততক্ষণ শীত থেকেও বাঁচা যাবে। শীতের সকাল সন্ধ্যায় আগুন পোহাতে শীতার্ত মানুষ অনেক আনন্দও পান। এটা নতুন কিছু নয়! আগুন পোহানো এটা পুরাতন প্রথা। অন্য বছরগুলোর হিসেবো এ বছর শীত অনেক বেশি। তাই এমনিভাবে প্রতিদিনই গ্রামের ছেলেরা এক কারনে আগুন পোহানোর মাত্রা একটু বেশী।
মেডিকেল শিক্ষার্থী আবূুল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন,দুই দিন ধরে সূর্যের চোখ দেখা যাচ্ছে না। প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গ্রামের মানুষ! প্রতিদিন বেড়েই চলছে শীত।ফরিদপুর সদর উপজেলার সদর হাসপাতাল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সহ বিভিন্ন ক্লিনিকগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীদের প্রচণ্ড ভিড়। কোথাও কোথাও সরকারি উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
তীব্র শীতে শিশু কিশোর বৃদ্ধ, আবাল বনিতা, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস, জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ভাটীলক্ষীপুর বসার মিয়ার পুকুর পাড় থেকে ছবিটি তোলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।