Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীনগরে গড়ে উঠেছে নিষিদ্ধ চায়না দোয়াইর কারখানা

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের ছত্রভোগ গ্রামে গড়ে উঠেছে চায়না দোয়াইর তৈরির একটি কারখানা। কারখানায় এসব নিষিদ্ধ জাল (চায়না ম্যাজিক চাই) তৈরির কাজ করছেন শিশু শ্রমিকরা। তৈরিকৃত এসব জাল/চাই পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ওই এলাকার দ্বিন ইসলাম ও আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে কারখানটি পরিচালনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অঞ্চলের বিভিন্ন খাল-বিল, জলাশয় ও নদী-নালায় চায়না দোয়াইরের নিধন করা হচ্ছে নানা জাতের মাছের প্রজনন। ব্যবহারে পোনামাছ নিধন করা হচ্ছে। চায়না দোয়াইরের থাবায় হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র।
অন্যদিকে উপজেলার রাঢ়িখালের বালাশুর, নতুন বাজার, ভাগ্যকুলের কামারগাঁও পাকাব্রিজ, মান্দ্রা এলাকায় বেশকিছু চায়না দোয়াইর তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষসহ অসংখ্য শিশু শ্রমিক কর্মরত আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঘড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ছত্রভোগের ইটভাটার পাশে একটি বড় টিনের শেডে চায়না দোয়াইর তৈরি করা হচ্ছে। এ সময় বেশকিছু শিশু শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়। সাংবাদিক ছবি তোলার সময় শিশু শ্রমিকসহ অন্যান্যরা পেছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যায়। লক্ষ্য করা যায়, কারখানায় নিষিদ্ধ জাল তৈরির বিভিন্ন উপকরণ রাখা হয়েছে। নানা সাইজের নিষিদ্ধ চাই প্রস্তুত করে বস্তাবন্দি করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর শ্রীনগর উপজেলা পরিষদে পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাস্তাবায়ন কমিটির জীববৈচিত্র সংরক্ষণের আওতায় সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার টেবিলে এক প্রসঙ্গে এ অঞ্চলে গড়ে উঠা বিভিন্ন চায়ানা দোয়াইর কারখানার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উঠে আসে। এ সময় সংশ্লিষ্টগণ চায়না দোয়াইর তৈরি কারখানা ও নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার বন্ধের তাগিদ দেন। তবে উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিষিদ্ধ চায়না চাই তৈরির কারখানাগুলো বহাল তবিয়দে রয়েছে। ব্যবসাটি লাভজনক হওয়ায় নতুন নতুন কারখানার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
বাঘড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু আল নাসের তানজিল জানান, আমি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় কারখানাটির বিষয়ে উপস্থাপন করেছি। সংশ্লিষ্টগন যদি ব্যবস্থা না নেন আমরা এলাকায় কি করতে পারি। চায়না দোয়াইরের ব্যবহারের এ অঞ্চলে মাছের প্রজনন হুমকির পড়েছে।
ছত্রভোগ কারখানাটির মালিক পক্ষের দ্বিন ইসলাম বলেন, চায়না দোয়াইর নিষিদ্ধ না বৈধ জানি না। দেশের আইন-কানুন কিছু বুঝি না। আপনারা যা পারেন লিখেন। ব্যবসায়ীক পাটনার আব্দুল জলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগে ওখানে যাওয়া আসা করতাল। এখন যোগাযোগ কম বলে এ বিষয়ে এড়িয়ে যান তিনি।
শ্রীনগর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সমীর কুমার বসাক এ ব্যাপারে বলেন, ছত্রভোগের কারখানাটিতে একদিন গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখতে পাই কারখানাটি বন্ধ। সুনিদিষ্ট তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ