বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে কাল রোববার থেকে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর তারা আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। তবে অপসারণ দাবি করা দুই বিচারকের আদালতে তারা যাবেন না। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা জানান, তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন আইনমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাল থেকে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বদলির আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আইনজীবী সমিতির নেতারা। এ ছাড়া জেলা জজ আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলি করা হবে বলেও তাদের আশ্বস্ত করেছেন আইনমন্ত্রী। কাল শনিবার আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা হবে। এরপর সব আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
গত ১ ডিসেম্বর কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালতে বিচারকের বিতণ্ডা হয়। এর জেরে গত ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি। পরে জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের অপসারণ এবং জেলা জজ আদালতের নাজিরের বিচারের দাবিতে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় আইনজীবী সমিতি। পরে ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি আরও তিন দিন আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা পরবর্তীকালে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় তারা কাল থেকে আদালতে যাবেন।
এদিকে বিচারকের সঙ্গে তিন আইনজীবীর অসৌজন্যমূলক আচরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদকসহ তিন আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালে জেলা জজের বিরুদ্ধে অশালীন স্লোগান দেওয়ায় ২৩ জানুয়ারি ২১ জন আইনজীবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।