Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমার লংমার্চে বাধা দিয়ে মজলুম মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকার মহাসচিব ইসলামী আন্দোলন

সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চে বাধা দিয়ে সরকার মজলুম মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই লংমার্চের মাধ্যমে পীর সাহেব চরমোনাই বিশ্বকে একটি ম্যাসেজ দিতে চেয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলমান মিয়ানমারের গণহত্যা বন্ধ করতে মিয়ানমার অভিমুখে যেতে চেয়েছিলো। তিনি বলেন, লংমার্চের মাধ্যমে জাতিসংঘ, ওআইসি ও বাংলাদেশ সরকার মুসলমানদের পক্ষে কথা বলতে ব্যর্থ হলে মুসলমানরা (কাউকে) ক্ষমা করবে না। গতকাল শুক্রবার বাদ জুম’আ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ১৮ ডিসেম্বর মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চে সরকারের বাধা দেয়ার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ঢাকা উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাও. আতাউর রহমান আরেফী প্রমূখ। অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী-পুলিশ ও রাখাইন বৌদ্ধদের দ্বারা বর্বরতা বন্ধ করতে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সকল প্রকার নাগরিক ও মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শান্তিরক্ষীবাহিনী প্রেরণ করতে হবে। বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী সকল রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে মানবিক সকল অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বের হয়ে কদম ফোয়ারা ঘুরে পল্টনে আসলে পুলিশ মিছিলের গতি রোধ করে।
দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে প্রায় সকল জেলা সদরেই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কোথাও কোথাও পুলিশী বাধায় কর্মসূচি পালিত হয়। যেসব জেলায় স্মানকলিপি পেশ হয়েছে তন্মধ্যে রয়েছে- নারায়ণগঞ্জ মহানগর, নরসিংদী, মাদারীপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, শেরপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলা পূর্ব, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বি-বাড়ীয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, খুলনা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা জেলা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ