পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বিদ্যুতের যে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। প্রত্যাহার করা না হলে সমস্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং বিদ্যুতের বিল বন্ধ করে দেব। বিদ্যুৎ বিল দেব না। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনের তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করা বুলু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট চোরদের আর দেখতে চায় না। বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০ টি আসনও পাবে না। এই কারণে মামলা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ দেখতে চায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। কোন তাবেদার রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দেখতে চায় না। কারো অধীনে বাংলাদেশ দেখতে চায় না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে বরকাত উল্লাহ বুলু বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছেন। আজকে এই অবৈধ সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। আজকে আপনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। বাঘের পিঠ থেকে নামতে হলে একটি রাস্তা আছে। সেই রাস্তা হল বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আপনি যে বেয়াদবি করেছেন অন্যায় করেছেন, যে পরিবারের সাথে যে অন্যায় করেছেন; বেগম খালেদা জিয়ার কাছে মাফ চেয়ে, বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করুন। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠ নির্বাচনে ব্যবস্থা করুন। দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করুন।
তিনি বলেন, আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে, যুক্তরাজ্য থেকে, জাতিসংঘ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ভোটের অধিকার নেই। বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচতে হলে তাদের ভোটের অধিকার দিতে হবে, ডিজিটাল কালাকানুন আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে যে আন্দোলন এটা জনতার আন্দোলন। মানুষ বাঁচতে চায়। এটা বিএনপির আন্দোলন নয়, এটা ১৮ কোটি জনতার আন্দোলন। সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটবে এবং বাংলাদেশ একটি নতুন সূর্য উদিত হবে।
আগামী দিনে আমরা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে যারা আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে তারা যতই ক্ষুদ্র দল হোক না কেন তাদের সকলকে নিয়েই একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এই জাতীয় সরকার রাষ্ট্র মেরামত করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধশালী স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই।
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমানের (ভিপি ইব্রাহিম) সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, গণতন্ত্র ফোরামের তারেক মুন্সি, জাহাঙ্গীর আলম, ইসমাইল হোসেন খোকন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, সুজন, আমিনুর রহমান, হারুন অর রশিদ, আব্দুল্লাহ আল নাঈম, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।