Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : বগুড়ার শিবগঞ্জের মাঝিহট্ট ইউপির ছাতুয়া সরকার পাড়ায় কেজি স্কুলের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের তিন দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কা- ঘটে গেছ। এ  ঘটনায় উত্তেজিত জনতা শিশুটির হত্যাকারী সন্দেহে  চারজনকে আটক করে পিটুনি দেয়ার পাশাপাশি তাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত গ্রামবাসীর হাত থেকে আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গ্রেফতার দেখিয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। রাতে পরিস্থিতির ভয়াবহতার আলোকে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও এলাকাবাসী  সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ছাতুয়া সরকার পাড়া গ্রামের রায়হান সরকারের  ছেলে ও ভুগোইল কেজি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র রনি (৮) গত বুধবার হঠাৎ বিকেল থেকে  নিখোঁজ হয়ে যায়। ওইদিন ও পরদিন নিখোঁজ রনির পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তার সন্ধান পায়নি। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ শিশুটির লাশ পাশের বাড়ির একটি সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশটি উদ্ধারের পর উত্তেজিত শিশু রনির আত্মীয়স্বজন শোকে নিস্তব্ধ এবং গ্রামবাসীরা  উত্তেজিত হয়ে উঠে। তারা সম্ভাব্য হত্যাকারী ধারণা করে ওই গ্রামের ধলু মিয়ার ছেলে জামিল, বাবু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম, মমতাজের ছেলে আব্দুল করিম ও ফরিদ উদ্দিনের ছেলে আবু তালেবকে আটক করে বেদম প্রহার করে। এক পর্যায়ে তারা ধৃতদের  বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
খবর পেয়ে বগুড়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলে। পুলিশও দ্রুত ঘনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের হেফাজতে আটক চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে  উত্তেজিত গ্রামবাসীকে শান্ত করে তাদের নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সার্বিকভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রাতে এই রিপোর্ট লেখার সময় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং পরিস্থিতির ভয়াবহতা ও গুরুত্বের আলোকে  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ