বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রথা বা রেওয়াজ আনুষ্টানিকভাবে কনে আনতে গেলেই বরকে প্রথমেই গুনতে হয় কিছু টাকা। বিয়ের গেটে ফিতা বেঁধে বর আটকে শ্যালক-শ্যালিকাদের টাকা নেওয়ার প্রথা পুরনো। সেই টাকার পরিমান নির্দিষ্ট না হলেও, কোন এক পরিমান দিয়ে তবেই মুক্তি মিলে বরের। সেই টাকা নেয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন, কনের ভাই বোনসহ সম্পর্কীয় শ্যালক-শ্যালিকরা। বিষয়টি সিলেটি সমাজে বিয়ের এক বাস্তবিক অনুসঙ্গ। এনিয়ে বাদানুবাদেরও কমতি নেই। এধাক্কা সামাল দিয়ে তারপরও বর বসতে হয়, তার জন্য রাখা সাজানো নির্ধারিত আসনে। সিলেটে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তেমনি এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হন পাত্র। বরও খুশি হয়ে শ্যালক-শ্যালিকাদের নগদ টাকা উপহার দিয়ে থাকেন। তবে বুধবার (১১ জানুয়ারি) সিলেট নগরীর সুবিধবাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত বিয়ের অনুষ্ঠানে বরযাত্রীরা ঘটিয়েছেন এক ব্যতিক্রমী কান্ড। পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে সেই বাধা টপকাতে অভিনব কৌশল আঁটেন বর যাত্রীরা । শ্যালক-শ্যালিকারা গেটে বর আটকানো মাত্র বরযাত্রীরা হাতে তুলে ধরে নানা স্লোগান সমৃদ্ধ ফেস্টুন-প্লেকার্ড! যেগুলোতে লেখা ছিলো- ‘আমাদের ভাবিকে আমরা নিবো, গেইটে কেন টাকা দিবো ?’ / ‘বর যাবে বউয়ের কাছে, গেইটে এত বাধা কিসের ?’ / ‘বরযাত্রীর গেইট আটকিয়ে চাঁদাবাজি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ’ / ‘বর কি এটিএম মেশিন?’ / ‘বরযাত্রীর গেইট আটকিয়ে চাদাবাজি বন্ধ কর করতে হবে’ টাকা নেয়ার চেষ্টা করবেন না’ ইত্যাদি শ্লোগান। এ কান্ড দেখে তবে দমে যাননি নতুন বরের শ্যালক-শ্যালিকারাও। তারাও এসময় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মতো ‘দুলাভাই- দুলাভাই’ শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন বিয়ের আসর। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মো. কছম আলীর ছেলে ছাত্রনেতা বদরুল আজাদ রানার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো এটি। তবে এসময় তারা তাদের দুলাভাইয়ের কাছে ১ লাখ দাবি করেন। তবে এত টাকা না দিলেও ১০ হাজার টাকা শ্যালক-শ্যালিকাদের হাতে গুজে দিয়ে তবেই পরিত্রান পান বর রানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।