সুন্দরবনের দুবলার চরের কাছে বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ২৩ কেজি ৬ শ’ গ্রাম বা প্রায় ২৪ কেজি ওজনের একটি ভোল মাছ। আজ বৃহষ্পতিবার ভোরে জেলেরা খুলণার রূপসা পাইকারী মৎস্য আড়তে মাছটি নিয়ে আসে। এ সময় মাছটির দাম প্রতি কেজি ৪০ হাজার টাকা দরে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। দুপুর পর্যন্ত ওই দামে মাছটি বিক্রি হয়নি।
সাগর ফেরত জেলেরা জানান, গত ১০ জানুয়ারি ভোরে সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় সাতক্ষীরার আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের জেলে মাসুম বিল্লাহর জালে মাছটি ধরা পড়ে । বৃহস্পতিবার ভোরে বিক্রির জন্য মাছটি রূপসা পাইকারি মৎস্য বাজারের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্স নামক আড়তে নিয়ে আসেন। বিরল এই ভোল মাছটিকে দেখতে ভিড় করেন অনেকেই। কেউ কেউ মাছটির সাথে সেলফি তুলছেন।
জেলে মাসুম বিল্লাহ জানান, ১০ জানুয়ারি ভোর ৬টার দিকে সুন্দরবনের দুবলার চরের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছটি ভেহেন্দিজালে ধরা পড়ে। মাছটির প্রথম দাম হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা কেজি। সে হিসেবে তখন দাম হয় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে সিন্ডিকেট করে ওরা দাম কমিয়েছে বলে মাছ বিক্রি না করে খুলনার বাজারে নিয়ে এসেছি। প্রথম ভোল মাছ ধরতে পেরে খুব খুশি হলেও সিন্ডিকেটের কারণে দাম নিয়ে সংশয়ে আছি। দুপুর ১ টা পর্যন্ত অনেকে দাম বললেও বিক্রি হয়নি। মাছটি বিক্রি করতে ঢাকা বা চট্টগ্রামে নিয়ে যাব। তিনি আরও বলেন, ভোল মাছ খুবই কম পাওয়া যায়। বছরে দুই-একটি মাছ পাওয়া যায়। মূলত এই মাছের পেটে থাকা বালিশের মত বস্তুর কারণে দাম বেশি। আমরা শুনেছি এগুলো দিয়ে মেডিসিন ও প্রসাধনী তৈরি হয়।
কেসিসি রূপসা পাইকারি মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্স পরিচালক মো. আবু মুছা বলেন, ভোল মাছ আগে কখনো দেখি নি। এটি একটি দুষ্প্রাপ্য মাছ। তবে বেশ কয়েক বছর আগে এ আড়তে একটি ভোল মাছ উঠেছিল। তিনি আরও বলেন, সমুদ্রের সোনা খ্যাত ভোল মাছের চাহিদা অনেক, স্বাদেও অনেক মজা। শোনা যায়, ভোল মাছের পেটে পাওয়া বালিশ সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি বিদেশে রপ্তানিও হয়ে থাকে। যার কারণে ভোল মাছের দাম এতো বেশি।