বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট সেবার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গত কয়েকদিন ধরে ইন্টারনেটের গতির অবস্থা আরো দুর্বল হয়ে উঠেছে। কিছু হলে দুদিন ধরে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবা। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল, সাদ্দাম হোসেন হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হলসহ ৮টি হলেই ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে ই-লাইব্রেরিসহ অনলাইন ভিত্তিক পড়াশোনায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ছাত্র হিসেবে প্রাত্যহিক জীবনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশ তথ্য প্রযুক্তিতে যত এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক ততটাই পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের আবাসিক হলের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সিস্টেম। স্লো স্পিড নেটের কারণে নূন্যতম সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করতে গেলে ও অনবরত বাফারিং(বাঁধাগ্রস্ত) সৃষ্টি হচ্ছে। যেকারণে আমাদের নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার কাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আমাদের পড়াশোনা ও শিক্ষা সম্পর্কিত কার্যাবলি এখন অনেকটাই অনলাইন কেন্দ্রিক। তাই ইন্টারনেট হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। হলে ওয়াই-ফাই থাকা সত্ত্বেও আমাদের ডেটা কিনতে হচ্ছে। এতে আমরা আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমরা এ সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চাই।
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হানিফ হোসেন বলেন, আমাদের হলে তিন দিন ধরে নেট নেই। প্রোভোষ্ট রুমের সামনে থেকে লাইন নিয়ে এসে এসে রুমে চালালেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। নেটের স্পিড ঠিকমতো পাওয়া যায় না মাঝেমধ্যে নেট থাকেই না। অনলাইন ক্লাসগুলো ঠিক মতো করতে পারিনা। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও বিষয়টির এখনো সুরাহা হয়নি। এজন্য প্রতি ব্লকে ব্লকে হাব দেওয়াটাই ভালো হবে। এতে করে নেটের স্পিড ঠিকমতো পাওয়া যাবে।
লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরফান হোসেন বলেন, ওয়াইফাই সমস্যা দীর্ঘদিনের। শুধু হলেই যে এই সমস্যা এমনটা নয়। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সমস্যাটি একরকম ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেট নির্ভর এই সময়ে এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান-উল আম্বিয়া বলেন, হলের ভিতরের অবস্থা তো আমরা বলতে পারবোনা। আমাদের তো এত স্টাফ নেই যে হল পর্যন্ত দেখব। হল পর্যন্ত আমরা ঠিক করে দিত পারবো। হলের ভিতরের বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষ দেখবে।
আইসিটি সেল থেকে সমস্যা হচ্ছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন চেক করতে যাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখি যে ইন্টারনাল সমস্যা। আর যদি কনফার্ম হওয়া যায় ওটা আমাদের প্রবলেম থাকে তাহলে আমরা সমাধান করে দিব।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমাদের নিয়ম হচ্ছে কমন প্লেসে নেট দিবো, রুমে রুমে তো আর নেট দিবনা। রুমে রুমে নেট দিতে গিয়ে বারবার ডিসকানেক্ট হয়ে যাচ্ছে। আইসিটি সেলের সাথে কথা বলে হলের ইন্টারনেট সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।