বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
১০ দফা দাবিতে গতকাল বুধবার নগরীর ঐতিহাসিক সিআরবিতে বিশাল গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই বিশাল অবস্থান কর্মসূচি থেকে জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বার্তা দিয়েছে। সরকারের পতন নিশ্চিত করেই জনতা ঘরে ফিরে যাবে। ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে আওয়ামী লীগ দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনতা এ ভয়কে জয় করেছে। আমাদের ১৩ জন সহযোদ্ধা শহিদ হয়েছেন। কিন্তু এরপরও বিএনপি মাঠ ছেড়ে যায়নি। জনগণকে সাথে নিয়ে ১০ দফা আদায় করেই জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। কর্মসূচিকে ঘিরে পুরো নগরী মিছিলের নগরীতে রূপ নেয়। সকাল থেকেই মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অবস্থান স্থলে হাজির হন। দুপুর ১২টার আগেই পুরো সিআরবি চত্বর লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনা আপনি দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। আপনাকে বিদায় হতে হবে। আর যদি দেয়ালের লিখন পড়তে না পারেন আপনাদের জন্য মোটেও মঙ্গল হবে না। বাংলাদেশের জনগণ জয়ী হবে। তার ফলশ্রুতিতে আপনাদের আগামি দিনের রাজনীতি কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনারা টিকতে পারবে না। আর কিছু চাটুকারের দল নিয়ে জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যদি মনে করেন আবারো আরেকটি অবৈধ ভোট চুরির কাজ কারবার করবেন সে কাজ করতে দেবেনা বাংলাদেশের মানুষ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে যে বার্তা আমরা দেই সে বার্তা সারা বাংলাদেশে চলে যায় এবং মানুষ উজ্জীবিত হয়। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের সাথে জনগণ নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে ঘরবন্দী। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। এরপরও বিএনপি রাজপথ ছাড়েনি। জনগণের এ আন্দোলন সফল হবে। আমীর খসরু বলেন, আমরা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিনা। যেখানেই হামলা হচ্ছে বিএনপির নেতা কর্মীরা প্রতিরোধ করছে। আগামীদিনের আন্দোলনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সকল জেলা, উপজেলা গুলোতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ও ঢাকার সমাবেশ শত বাধা বিপত্তির পরও জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছিল। চট্টগ্রাম রাজনীতির তীর্থ স্থান। এই চট্টগ্রাম থেকে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি লড়াই করে ব্যর্থ হন নি। আমরাও হবো না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মীর মো. নাছির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে ভারত থেকে। তারা ভারতকে পছন্দ না করে বাংলাদেশকে পছন্দ করতে পারবে না। এটা জিয়াউর রহমানোর বাংলাদেশ। শহীদ জিয়া বলেছিলেন, আমাদের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ নিতে পারবে না। তারা সেই জিয়াকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ আমাদের পবিত্র জন্মভূমি। এই জন্মভূমি রক্ষায় বিএনপির কর্মীরা যথেষ্ট। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।