প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
থিয়েটার অন্তপ্রাণ ইশরাত নিশাতের নামে এবার চালু হলো নাট্য পুরস্কার। মঙ্গলবার (১০শে জানুয়ারি) জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার-২০২২ এর জন্য মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। থিয়েটারের আট শাখায় প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হবে। আগামী ১৯শে জানুয়ারি ২০২২ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই নাট্য পুরস্কার প্রবর্তনে দেশের বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব ও গুণীজনদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি এবং একটি নিরপেক্ষ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। জুরি বোর্ড ইতোমধ্যেই ২০২১ ও ২০২২ সালে মঞ্চায়িত নতুন ১৭টি নাটক দেখে মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছেন। এই পুরস্কার প্রবর্তন দেশ নাটকের উদ্যোগ হলেও দেশের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার বাস্তবায়ন কমিটি ও জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপারসন ফেরদৌসী মজুমদার, কো-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সদস্য রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, আসাদুজ্জামান নূর, ম. হামিদ, মামুনুর রশীদ, সারা যাকের, লাকী ইনাম, লিয়াকত আলী লাকী, গোলাম কুদ্দুস, তারিক আনাম খান, রোকেয়া রফিক বেবী, কামাল বায়েজীদ, মাসুম রেজা ও কামাল আহমেদ। অন্যদিকে পুরস্কারের জুরিবোর্ড প্রধান প্রফেসর আবদুস সেলিম, সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়াহিদা মল্লিক জলি, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটে সাধারণ সম্পাদক দেব প্রসাদ দেবনাথ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক, বটতলা থিয়েটার স্পেসের মোহাম্মদ আলী হায়দার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কামালউদ্দিন কবির ও শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর ড. আইরিন পারভীন লোপা।
এ বছর শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন পুণ্যাহ নাটকের রচয়িতা বদরুজ্জামান আলমগীর, পারাপার নাটকের রচয়িতা মাসুম রেজা ও রাইজ অ্যান্ড শাইনের রচয়িতা আবদুস সেলিম। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মনোয়ন পেয়েছেন প্রশান্ত হালদার (রায়মঙ্গল), খালিদ হাসান রুমি (মাংকি ট্রায়াল), সুকর্ণ হাসান (রাজদ্রোহী)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে সঙ্গীতা চৌধুরী (পুণ্যাহ), মনামী ইসলাম কনক (পুণ্যাহ) ও কাজী রোকসানা রুমা (রাইজ অ্যান্ড শাইন) মনোনয়ন পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিকল্পনা জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন শিশির রহমান ও অন্যান্য (মলুয়া), সেলিম মাহবুব (মাধব মালঞ্চি) ও ইউসুফ হাসান অর্ক (পুণ্যাহ)। শ্রেষ্ঠ আলোক পরিকল্পনার জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন অম্লান বিশ্বাস (পুণ্যাহ) ও (রায়মঙ্গল) এবং মোহাম্মদ আলী হায়দার (রাইজ অ্যান্ড শাইন)। শ্রেষ্ঠ নির্দেশক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তনীল (মাংকি ট্রায়াল), ইউসুফ হাসান অর্ক (পুণ্যাহ) ও ফাহিম মালিক ইভান (পারাপার)। শ্রেষ্ঠ মঞ্চ পরিকল্পনাকারীর তালিকায় রয়েছেন ফজলে রাব্বি সুকর্ণ (সে এক), ইউসুফ হাসান অর্ক (পুণ্যাহ) ও মুজিবুল হক (মলুয়া)। শ্রেষ্ঠ প্রযোজনার জন্য মনোনীত হয়েছেন বাতিঘরের মাংকি ট্রায়াল, নাট্যকেন্দ্রের পুণ্যাহ ও দেশ নাটকের পারাপার।
বাংলাদেশে মঞ্চের সুপরিচিত নাম ইশরাত নিশাতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। মরহুম আবুল কালাম এবং মরহুমা নাজমা আনোয়ারের চার কন্যা ও একপুত্রের মাঝে নিশাত তৃতীয়। ছোটপর্দা, বড়পর্দা এবং মঞ্চে একইসঙ্গে সমান দাপটে কাজ করে যাওয়া স্বনামধন্য অভিনেত্রী মা নাজমা আনোয়ারের অনুপ্রেরণাতেই নিশাতের থিয়েটারে পথচলা। ৮০’র দশকের শুরুতে আরণ্যক নাট্যদলের অন্যতম প্রযোজনা গিনিপিগ-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিশাতের মঞ্চ অভিনয়ের অভিষেক হয়। পাশাপাশি মুক্ত নাটকের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে অগণিত কর্মশালা পরিচালনা করেন তিনি।
‘মানুষের জন্য নাটক’ স্লোগানকে ধারণ করে ১৯৮৭ সালে আত্মপ্রকাশ করা দেশ নাটক এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশরাত নিশাত। ছয় বছরের অধিক সময় দলটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের দুনিয়ায় একজন নাট্যসমালোচক হিসেবেও সমাদৃত ছিলেন তিনি। দেশ নাটকের বাইরেও নাগরিক নাট্যঙ্গন ও ঢাকা থিয়েটারের একাাধিক নাটকে আলোক পরিকল্পক এবং দেশের বিভিন্ন জেলার নামকরা থিয়েটার দলে কর্মশালা পরিচালনা করার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন ইশরাত নিশাত। মঞ্চের মানুষ ইশরাত নিশাত বাচিক শিল্পী হিসেবেও দর্শক নন্দিত ছিলেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নাট্যপ্রেমীদের আমন্ত্রণেও নিশাত কাজ করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।