রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জ ইউনিটের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে উপজেলার সর্বত্র। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রার্থীরা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে দিন-রাত সময় দিচ্ছেন। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের আদর্শের বয়ানসহ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন। তবে ভোটারা মুখ খুলছেন না। কাকে ভোট দিবেন তা বোঝা যাচ্ছে না। সরজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা দল বেঁধে প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকা সরগরম করে তুলছেন। এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জ ইউনিট (১) থেকে ২০ জন প্রার্থী সদস্য ও মহিলা সদস্য পদে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী এ ইউনিট থেকে কেউ হয়নি। সুন্দরগঞ্জের ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ১ ইউনিটে ৩টি ওয়ার্ড করা হয়েছে। সাধারণ সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে (১-৫ নং ইউনিয়ন) প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। এরা হলেন রেজাউল আলম রেজা (হাতী), বাদশা হাজী (ফ্যান), এমদাদুল হক নাদিম (তালা), আল শাহাদৎ জামান জিকো (ঘুড়ি)। ২নং ওয়ার্ডে (৬-১০নং ইউনিয়ন) প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। এরা হলেন আব্দুর রশিদ (ক্রিকেট ব্যাট), সফিউল ইসলাম (হাতী), আলতাফ হোসেন (তালা) শাহজাহান মিয়া (নলকূপ), সাদেকুল ইসলাম দুলাল (ঘুড়ি) সুজাউদ্দৌলা সুজা (অটোরিক্সা)। ৩নং ওয়ার্ডে (১১-১৫নং ইউনিয়ন) প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন মেহেদী মোস্তফা (ঘুড়ি), মখদুম হোসেন সোহাগ (ফ্যান), কামরুল হুদা রাজু (তালা), আশরাফুল ইসলাম লিটন (হাতী), লিংকন (নলকূপ)। ১নং ইউনিটে সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন নাসরিন সুলতানা (দোয়াত কলম), মুবিনা হামিদ মুক্তি (মাইক), আনোয়ারা বেগম (হরিণ), হাফিজা বেগম কাকলী (ফুটবল), মাজেদা বেগম (টেবিল ঘড়ি)। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, শহরের অলি-গলি, চায়ের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। প্রার্থীরা সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। প্রার্থীরা আরামের ঘুম হারাম করে অগ্রহায়ণের কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। মহিলা প্রার্থীরাও আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও স্বামী-সন্তান সাথে নিয়ে মাঠে নেমেছেন কোমর বেঁধে। সবার আশা ভোট যুদ্ধে জিততেই হবে। ১নং ইউনিটে মোট ভোটার সংখ্যা ২১১ জন। এরা সবাই ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তারপরেও ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন প্রার্থীদের আনাগোনায়। ভোটাররা প্রার্থীদের সামনা সামনি সবাইকে ভোট দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু কাকে ভোট দিবেন তা কেউ বলতে পারছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।