বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় ১৯০ টন চাল এবং ৭ হাজার ৫শটি বস্তা বিক্রির অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। টাকার হিসাবে যা অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
শালিখার আড়পাড়া খাদ্য গুদাম থেকে রাতের অন্ধকারে চাল বিক্রির অভিযোগে ২২ ডিসেম্বর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহদী হাসান শিহাবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
খাদ্য বিভাগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এ কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করলে শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরীসহ খাদ্য বিভাগের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা বিপাকে পড়ে যান।
এ অবস্থায় আড়পাড়া খাদ্য গুদামে অন্য একটি গুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করে গুদামজাত করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়।
বিষয়টি খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় পর্যন্ত জানাজানি হলে ২৯ ডিসেম্বর রাতে ওই গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে বুঝতে পেরে ৩০ ডিসেম্বর মাগুরার শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী ১৩০ টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শালিখা থানায় একটি মামলা দায়ের করে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন।
এই মামলার প্রেক্ষিতে পরদিন শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে গুদাম সিল করে খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চার সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং শালিখার এসিল্যান্ড উম্মে তাহমিনা মিতু, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজউদ্দিন আহমেদ ও খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কেমিস্ট একরামুল কবির নিয়ে গঠিত ৪ সদস্যের কমিটি ২ জানুয়ারি থেকে তাদের তদন্ত কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেনি।
তবে চাল ও বস্তা বিক্রির অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এই অর্থ আত্মসাৎকারীকে পরিশোধ করতে হবে। এত বড় অপরাধ এককভাবেও করাও সম্ভব নয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরীর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মাগুরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ মজুমদার বলেন, তদন্ত কমিটির কাছে দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কমিটির কাছে থেকে লিখিত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।