Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পলিথিন আর অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্যে বিপন্ন কীর্তনখোলার নাব্যতা উন্নয়নে বার বার আটকে যাচ্ছে ড্রেজার

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:০০ পিএম

বরিশাল মহানগরীর প্রাণ কীর্তনখোলা নদীর তলদেশে পলিথিন সহ নানা অপচনশীল বর্জ্যে ক্রমশ ভড়াট হয়ে যাচ্ছে। সাথে নাব্যতা উন্নয়নের নামে ড্রেজিংকৃত পলি নদীতেই ফেলায় তলদেশ ভড়াট হয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ ঝুকিপূণ হয়ে উঠেছে । পরিচালন স্বাভাবিক রাখতে মাসাধিককাল আগে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্বম এ নদী বন্দরে খনন কাজ শুরু হলেও তলদেশে জমে থাকা পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যর কারণে প্রতি ১০-১৫ মিনিট পরেই খনন বন্ধ রেখে ড্রেজারের সাকশন কাটার ওপরে তুলে পরিস্কার করতে হচ্ছে। ফলে বার বারই বর্জ্য অপসারণ করে বন্দরের নাব্যতা ফেরান কঠিন হয়ে পড়েছে। কাজের গতিও থেমে যাচ্ছে বার বারই।
খোজ নিয় জানা গেছে, বন্দরে বিভিন্ন ধরনের নৌযান ছাড়াও নগরীর ড্রেন থেকে নির্গত পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য বরিশাল মহানগরীর প্রাণ কিরতনখোলা নদীকে অনেকটাই ভাগারখানায় পরিণত করেছে। আর এতে করে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি হুমকিতে পড়ছে নদীর জীববৈচিত্র্য। বিশেষজ্ঞদের মতে এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে অচিরেই এ নদীতে মাছের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। পাশাপাশি প্রবাহ হ্রাস পেয়ে পানি দূষনে বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে নদী।ফলে এ মহানগরীর সুস্থ্ নাগরিক পরিবেশও বিপন্ন হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
বরিশাল নৌ-বন্দর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পলিথিন, প্লাস্টিকের বিভিন্ন ব্যাগ, ছেড়া জালসহ বহুবিধ ময়লা আবর্জনার স্তুপে ‘ড্রেজার সুরমা’র ড্রেজিং বার বারই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আটকে যাচ্ছে ড্রেজারের সাকশন কাটার। ফলে সাকশন কাটার ওপরে তুলে ৩-৪জন শ্রমিক আটকে যাওয়া পলিথিন ও প্লাস্টিক বজ্য পরিস্কার করে পুনরায় খনন শুরু করতে ঘন্টাকালেরও বেশী সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
বরিশাল বন্দরে খনন কাজে নিয়োজিত বিঅইডব্লউটিএ’র চীফ মাষ্টার মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রতি বারো থেকে ১৫মিনিট পরপর মেশিন থামিয়ে এভাবেই পরিষ্কার করতে হচ্ছে। প্রতিবারেই ঘন্টারও বেশি সময় লাগছে সাকশন কাটারে আটকে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কার করতে। ফলে এ বন্দরে ড্রেজিং কবে শেষ হবে তা বলতে পারেছেন না মাষ্টর সহ বিআইডব্লিউটিএ’র দায়িত্বশীল মহলও। পচনশীল না হওয়ায় এসব বজ্য নদীর তলদেশে জট পাকানো অবস্থায় পড়ে থাকে, এরসাথে পলিযুক্ত হয়ে আস্তরণ তৈরি করছে।
নগরীর অপরিচ্ছন্ন খালগুলো থেকেও অনেক বর্জ্য এসে কীর্তনখোলাকে ভড়াট করছে। আবার কীর্তনখোলার তলদেশ ক্রমশ উচু হতে থাকায় নগরীর খাল ও ড্রেনগুলোর প্রবাহও অনেকটা বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।বরিশাল মহানগরীতে ছোট থেকে মাঝারী ২২ টি খালের সবগুলোই এখন অস্তিত্ব সংকটে। ৭টি খাল পুনঃ খননে পানি উন্নয়ন বোড থেকে তহবিল বরাদ্বের পরেও নগর ভবনের সম্মতি না মেলায় সে কাজ আর শুরু হবার সম্ভবনা নেই ।বরাদ্বকৃত ১০ কোটি টাকাও ফেরত যাবার পথ তৈরী হয়েছে। অথচ নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা এই সাতটি খালের ওপর বাহুলাংশে নিভরশীল।
তবে প্লাস্টিক ও পলিথিন নগরবাসীর অসচেতনতার ফল বলে মনে করছেন বিআইডব্লিউটি’এর দায়িত্বশীল মহল। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে কীর্তনখোলায় নাব্যতা উন্নয়নে ড্রেজিং শুরু হলেও অতিমাত্রায় পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য খনন কজের গতিকে বার বারই রুদ্ধ করছে। বিভিন্ন যাত্রীবাহী নৌযান থেকেও প্রতিদিন বিপুল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে।
প্রতিটি নৌযানে বিআইডব্লিউটিএর ময়লা ফেলার ডাম্প রাখার পাশাপাশি যাত্রীরা সেখানে যেন ময়লা আবর্জনা ফেলে তা তদারকিও করা হয়। কিন্তু তারপরও নদীতে ময়লা আবজনা ও পলিথিন সহ বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং পরিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এ নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাথে মিটিং-এর কথা জানিয়ে নগরীর খালগুলোকে প্লাস্টিকজাত বর্জ্য মুক্ত রাখার প্রস্তাবণার কথাও বলেন। এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে নদীর এ দুরবস্থা হতো না বলেও জানান তিনি। বরিশাল নৌ বন্দরের একতলা লঞ্চঘাট এলাকায় আটকে আছে ড্রেজার। এখানে ময়লা আবজনার কারণে ঘাটে লঞ্চ ভেড়াতে সমস্যা হচ্ছে, বড় নৌযানের অবস্থা আরো ঝুকিপূণ। প্রায়সই লঞ্চের প্রপেলারও আটকে যাচ্ছে নানা বজ্যে।
বরিশালে পবা, রান নদী এবং পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক ও গবেষক রফিকুল আলম ময়লা-আবর্জনার স্তুপে আটকে থাকা ড্রেজার দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বলেন, ‘এবার বুঝি কীর্তনখোলাও ঢাকার বুড়িগঙ্গার ভাগ্য বরন করতে যাচ্ছে।তার মতে, এ অবস্থা দ্রুত ঠেকানো না গেলে জীববৈচিত্র্যই শুধু নয়, দু এক বছরে মাছ শূন্য হয়ে যাবে কীর্তনখোলা নদী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->