Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো যেত তুনিশাকে!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫২ পিএম

ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার আত্মহত্যার ঘটনার পর গ্রেফতার হয়েছেন তার প্রেমিক শেজান খান। কারাগারেই আছেন তিনি। এদিকে অভিনেত্রীর মা বণিতা শেজানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জানাচ্ছেন গণমাধ্যমকে। এবার তিনি দাবি করলেন, গলায় ফাঁস দিলেও তাকে নামানোর পর নিশ্বাস নিচ্ছিলেন তুনিশা। তাকে কাছে কোনো হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো যেত।

অভিনেত্রীর মা বলেছেন, ‘এটা হয় আত্মহত্যা আর নয়তো খুন। আমি এ রকম বলছি কারণ, শেজান ওকে দূরের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। সেট থেকে মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বেই হাসপাতাল ছিল। কাছের হাসপাতালে কেন নিয়ে গেল না? তখনও নিশ্বাস নিচ্ছিল ও, বাঁচানো যেত।’

এদিকে কিছুদিন আগেই শেজানের পরিবার দাবি করেন যে বণিতা তার মেয়ের সমস্ত টাকাপয়সার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতেন এবং মেয়েকে টাকার জন্য রীতিমতো অনুনয় বিনয় করতে হত। তাদের আরও দাবি, মায়ের সঙ্গে তুনিশার সম্পর্ক একেবারেই ভালো ছিল না। তবে সেই কথা অস্বীকার করেছেন বণিতা।

এ প্রসঙ্গে বণিতা বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। শিজানের মা তো আমার সঙ্গে আমার মেয়ের সম্পর্ক কীরকম বলতে পারেন না। আমার কারও কাছে কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

২০২১ সালের ডিসেম্বরের একটি ক্লিপ শেয়ার করেন বণিতা, যেখানে তুনিশাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি মা। কতটা ভালবাসি বলতে পারব না।’

বণিতা যদিও শেজান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তুনিশাকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করার চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছেন। শেজানের পরিবার অবশ্য এমন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত বছর ডিসেম্বরে শুটিং সেটে চা-পানের বিরতিতে সহ-অভিনেতা শেজান খানের মেকআপ রুমের বাথরুমেই আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী। ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। সেখানেই অভিনেত্রীকে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ