বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার খোকসায় খাবারে সাথে বিষপ্রয়োগ করে পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে দীর্ঘ ১৫ বছর পর নাসিমা বেগম নামের সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত -১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নাছিমা বেগম কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার চর ভাবনিপুর গ্রামের উন্তার মৃধার মেয়ে এবং খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের বাদশা প্রমানিকের ২য় স্ত্রী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং এজাহার সূত্রে জানা য়ায়, দুই সন্তান রেখে ১ম স্ত্রী মারা যাওয়ায় কুমারখালীর উপজেলার চর ভাবনিপুর গ্রামের উন্তার মৃধার মেয়ে নাছিমা বেগমকে বিয়ে করেন খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের হাচেন প্রমানিকের ছেলে বাদশা প্রমানিক ।
বাদশার ২য় বিয়ের পর তার আগের পক্ষের শ্বশুর দুরুদ আলী বাদশার দুই সন্তান শাহীন এবং রায়হানকে তার কাছে নিয়ে লালন পালন করতে থাকেন। ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঈদ উপলক্ষে জামা কেনার জন্য দুই সন্তানকে বাদশার বাড়ীতপ দিয়ে যান শ্বশুর দরুদ আলী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় ছোট ছেলে শাহিনকে ভাতের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেয় বাদশার ২য় স্ত্রী এবং শাহিনের সৎ মা নাছিমা বেগম। এ সময় শাহিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরের দিন শাহিনের বাবা বাদশা প্রমানিক বাদী খোকসা থানা একটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নাছিমা প্রতিহিংসার কারণে তার সৎ ছেলে শাহিনকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেন।মামলা তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি একমাত্র আসামি ও শাহিনের সৎ মা নাছিমার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খোকসা থানার এসআই হাবিবুর রহমান। দীর্ঘ শুনানী শেষে গত রোববার আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।