Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় ৪ মাস বেতন পান না শিক্ষক-কর্মচারীরা

তুলসীঘাট ডিগ্রী কলেজ বিনা চিকিৎসায় এক শিক্ষকের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

সভাপতি বেতন বিলে স্বাক্ষর না করার কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলসীঘাট শামসুল হক ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ৪ মাস ধরে বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম দুর্দশার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। গতকাল রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে কলেজের সহকারী অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, কলেজের প্রিন্সিপাল একরামুল হক খান ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট অবসরে যান। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী কলেজের সিনিয়র ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে যে কোন একজন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা। সে মোতাবেক সাবেক প্রিন্সিপাল একরামুল হক সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে মোছা. শামশাদ বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল দায়িত্ব প্রদান করেন। এরপর থেকে শামশাদ বেগম ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু কলেজের সহকারী প্রিন্সিপাল নুরে আলম মোস্তফা ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল শামশাদ বেগমকে মেনে তিনি জোরপূর্বক অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার জন্য নানা অপকৌশল চালাচ্ছেন। এরপর থেকে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়। তখন থেকে কলেজের অভ্যান্তরীণ পরিবেশের বিঘ্ন ঘটছে এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ছাড়, স্বল্প সময়ে কলেজে পূর্ণাঙ্গ প্রিন্সিপাল নিয়োগ দিয়ে কলেজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, বর্তমান সহকারী প্রিন্সপাল নুরে আলম মোস্তফা কর্তৃক সকল সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখে শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা এবং জোর পূর্বক আলাদা বেতন বিলে স্বাক্ষর নেয়ার অপচেষ্টা প্রতিহত করা দরকার। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ৪ মাস ধরে বেতন ভাতা উত্তোলন করতে না পারায় কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ জামাল মিয়া বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করেছেন। শুধু তাই নয়, বেতন বিলে স্বাক্ষর করার জন্য একাধিকবার মোছা. শামশাদ বেগম, কলেজ পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বাক্ষরসহ বেশ কয়েকবার আবেদন সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বেতন বিলের কোন সুরাহা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম, নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম মন্ডল, ফেরদৌসি জাহান সিদ্দিক, বিমান কান্তি অধিকারী, তৌহিদুল ইসলাম নুরে আয়েশা সিদ্দিকাসহ ২৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ