রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দেয়া হবে। এমন খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠাকাল হতে বিদ্যালয়ে নাইটগার্ড জাহেদুল ইসলাম বিনা বেতনে গত ৮ বছর কাজ করে আসছে। ১৯৯৫ সালে চাকরি জন্য বিদ্যালয়ে ৫ শতাংশ জমি দান করেন। জাহেদুলের পক্ষে এলাকাবাসীও অবস্থান করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জাহেদুল নিয়োগের দাবিতে বিদ্যালয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
জাহেদুল ইসলাম তার চাকরির দাবিতে ও বিনা টাকায় ৮ বছর ফিরিয়ে চেয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নিয়োগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগানের প্লাকার্ড হাতে নিয়ে আত্মহত্যা নতুবা চাকরি নিয়োগের দাবিতে অবস্থান নেন। জাহেদুল ইসলাম চাকরির আশায় ১৯৯৫ সালে ৫ শতাংশ জমি প্রতিষ্ঠানের নামে দান করেন। এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিএনপি’র নেতা পৌর মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। জাহেদুল সব কিছু হারিয়ে আজ নিঃস্ব। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক দিনেশ চন্দ্র রায় ও বিএনপি’র নেতা মনছুরুল ইসলাম দানু চাকরির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যদের বাদ দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করে।
জাহেদুল ইসলাম জানান, আমি ৫ শতক জমি স্কুলে দান করি ১৯৯৫ সালে। আমাকে ৮ বছর ডিউটি করায় বিনা বেতনে। আমাকে ১ টাকাও বেতন দেয় নাই। চাকরি দিবে বলে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেয় মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু, নাসির উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক দিনেশ চন্দ্র রায়।
সুইপার সুরুজ জানান, আমার ছেলে এখানকার প্রার্থী। দরখাস্ত দিছে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে। যাতে সুইপার নেয়া হোক এটাই আমার আশা, এটাই আমার দাবি। আমরা হরিজন। এ পেশায় আমাদের অধিকার আছে। আমরা যেন আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হই।
ডোমার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম জানান, একটা অসহায় মানুষ কখন আত্মহত্যা করতে যায়, যখন তার স্বার্থে খুব বেশি লেগে যায়। তার জীবনে মূল্যবান ৮ বছর সময় তিনি স্কুলে দিয়েছেন এবং ১টা টাকাও বেতন নেননি। এ বিষয়ে আমরা প্রমাণিত। ২০ শতক জমি বিক্রি করে চাকরির নিয়োগ তিনি পাবেন এই আশায় ২০ হাজার টাকা তার কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়টা আমি তদন্ত করে দেখলাম আজকে ও ২-১ জনের কথা বলেছি এই স্কুলে জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলো। এটা সকলেরই জানা।
ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম জানান, কিছু পোস্টার টাঙানো হয়েছে, পোস্টারগুলোতে আমরা দেখলাম জাহিদুল নামের এক ব্যক্তি আবেদন করেছেন নৈশ্য প্রহরীর জন্য। ২টা পদের নিয়োগ ছিলো আজকে তাকে ডেকেছি শুনেছি। যেহেতু নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার মতো এখানে পরিবেশ নেই, তাই আজ নিয়োগ স্থাগীত হলো।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনছুরুল ইসলাম দানু জানান, আমি বড় রাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এই স্কুলটা আজ থেকে ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি কখনো দেখি নাই টাকার বিনিময়ে যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে অন্য ব্যক্তিকে নিয়োগের চেষ্টা করছে। জাহেদুলের কাছে ৫ শতাংশ জমি, ২০ হাজার টাকা ও জাহেদুল বিনা টাকায় ৮ বছর স্কুলে শ্রম দিয়েছেন এসব বিষয় তিনি এড়িয়ে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।