Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘন কুয়াশায় ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:৫৭ পিএম

ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ১১ ঘন্টা ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে, জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটেও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার রাত ১০ টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে মার্কিং বাতি অস্পষ্ট হয়ে গেলে নৌপথে দূর্ঘটনা এড়াতে সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। এসময় মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ৪ টি ফেরি হাসনা হেনা, শাহ্ মুকদুম, শাহ্ পরান ও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ১১ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘাটে এসে পার না হতে পেরে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া প্রান্তে আটকে থাকা যাত্রী, নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও চালক এবং সহকারীরা পড়েন চরম বিপাকে। দু’পাড়েই শত শত যানবাহন আটকে পড়ে।
রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ। ঘাটে এসে তীব্র শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রতিদিনই এভাবে কুয়াশার কারণে ঘাট বন্ধ থাকছে।
যাত্রী টিপু শেখ বলেন, আমরা রাজবাড়ীর মানুষ। সকালে রওনা দিয়ে এসেও কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা বাজে ঘাট পার হতে পারলাম না।
রবিন মোল্যা বলেন, শুনেছি, ইতিপূর্বে কুয়াশার মধ্যে ফেরি চলাচলের জন্য উন্নত প্রযুক্তির লাইট লাগানো হয়। কিন্তু কোটি টাকা খরচ হলেও ঘাটের দুর্ভোগ কখনো কমেনি।
প্রবাসী যশোরের ঝিকরগাছার কামাল হোসেন বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে শনিবার বাংলাদেশে আসি। রাতে পাটুরিয়া ঘাটে এসে পার হতে পারিনি। সারারাত ওখানেই চরম কষ্ট নিয়ে থাকতে হয়। সকাল ১০টার দিকে পার হতে পেরেছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ম্যানেজার মোঃ আলিম গায়েন বলেন, ঘন কুয়াশায় শনিবার রাত ১০ টা থেকে রবিবার সকাল ৯ পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৭ টি ফেরি চলাচল করছে। আটকে থাকা যানবাহন গুলো দ্রুত পার করে দেওয়ায় দুর্ভোগ কম হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ