রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অবশেষে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্ঠা করার অভিযোগে মুরাদ হোসেন ও নাইম হোসেন নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পালিত পিতা। বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাড়ী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মুরাদ হোসেন খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়া গ্রামের মৃত মকলেছার রহমান ও খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য দুলালী বেগমের ছেলে এবং নাইম হোসেন একই এলাকার অহেদুল হকের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে একা পেয়ে এক নির্জন বাড়িতে জোর পূর্বক ধর্ষণচেষ্টা করে, উপজেলার খয়েরবাড়ি বালুপাড়া গ্রামের মৃত মকলেছার রহমানের ছেলে মুরাদ হোসেন (১৮) ও তার বন্ধু নাইম হোসেন। এঘটনায় বিচার চেয়ে বিভিন্ন কর্তাব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে গত ৫ জানুয়ারি রাতে ফুলবাড়ী থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর পালিত পিতা। সরেজমিনে জানা যায়, এঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার জন্য, মুরাদ হোসেনের মা খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য ও মহিলা যুবলীগের নেত্রী দুলালী বেগমসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আপোষ রফা করার জন্য চাপ দেয়া শুরু করে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর পালিত বাবা স্থানীয় খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নিকট বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও ঘটনাটি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ায় খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিচার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ভুক্তভোগী পরিরারটি গত ৩ জানুয়ারি ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা মামলা না করার জন্য ভুক্তভোগী দিন মজুর পরিবারটি নানভাবে চাপ দেয়। অবশেষে গত ৫ জানুয়ারি রাতে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পালিত পিতা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারটি তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছিল, কিন্তু ঘটনাটি নারী-শিশু নির্যাতন আইনের তাই তিনি মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এবিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি আশ্রাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারটি একটি লিখিত অভিযোগ করেছিল, অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা দায়ের করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।