পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কোন ব্যত্যয় হবে না। সংবিধানে যেটা নেই, সেটাও হবে না। সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকারের কোন বিধান নেই। কেয়ারটেকার সরকার অবৈধ। সেজন্য কেয়ারটেকার সরকারের কোন প্রশ্নই আসেনা। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে, সকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। জনগণ যাকে ভোট দিবে সেই দল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করবে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারাঙ্গনে চলমান অস্থিরতার ঘটনায় মন্ত্রী বলেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত, লজ্জিত। বিচার বিভাগ স্বাধীন, এখন বিষয়টি হাইকোর্ট তার এখতিয়ারের মধ্যে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিব না। তারা যদি আমার কাছে আসত তাহলে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না। একজন বিচারকের সাথে যেই হউক সে যদি দুর্ব্যবহার করে, সেটাকে প্রশ্রয় দেক সেটা বাংলার জনগণের একজন সদস্যও দেবে না। আমি ঘটনার ভিডিও দেখেছি, সেটি যদি সত্য হয় তাহলে আমি মর্মাহত। আমি একজন আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে বিশ^াস করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল আইনজীবীরা এ রকম ঘটনা করতে পারেনা। এটা এক, দুই অথবা তিনজন করতে পারে। যেহেতু হাইকোর্ট কনডেমট রুল জারি করেছে, এটা হাইকোর্টের এখতিয়ারে আমি কোন কথা বলব না। কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভ‚ইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম, পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী জেলার আখাউড়ায় রেলওয়ে স্টেশনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুলসহ আটক সিনিয়র নেতাদের জামিন বিষয়ে বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। সরকার বা সরকারের কোন মন্ত্রণালয় আদালতের মামলা হওয়া বা চলাকালীন কোন বিষয়েই হস্তক্ষেপ করেন না। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে শুনেছি হাইকোর্টে যে জামিন দেয়া হয়েছিল, সেখানে আইনের কিছু ব্যত্যয় ঘটেছে সেজন্য তিনি আপিল বিভাগে গেছেন। এছাড়াও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের বিচারক এবং অন্যান্য বিচারকগণ তার কাছে অভিযোগ করেছেন এবং ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে একজন বিচারকের প্রতি তাদের আচরণ খুব খারাপ ছিল, সেটা আমি শুনেছি। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কনডেমট রুল জারি করেছেন। এটা এখন বিচারাধীন ব্যাপার। আদালত বিচার করবেন। এসময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।