Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে অবৈধ ফার্মেসী লাখের বেশি

লাজ ফার্মার ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসী আছে দেড় লাখের মত। এর বাইরে এক লাখের বেশি অবৈধ ফার্মেসী রয়েছে। যারা নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের মত ওষুধ বিক্রি করছে। অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ সেবনে মাল্টি ড্রাগ রেজিসট্যান্স বা ওষুধের অকার্যকরিতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইউসুফ আলী। গতকাল শুক্রবার লাজ ফার্মার ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি বন্ধ এবং সারাদেশের ফার্মেসীগুলো আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার। একইসঙ্গে অনিবন্ধিত ফার্মেসির বন্ধে ঔষধ আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের পেছনে অন্যতম কারণ যত্রতত্র ফার্মেসি গড়ে ওঠা। বাংলাদেশে যত ফার্মেসি রয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। একসময় কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হত, এখন হাত বাড়ালেই ফার্মেসী। অনিবন্ধিত ও অবৈধ ফার্মেসী বন্ধে কাজ চলছে। আইন পাস হলেই অভিযান শুরু হবে। ইউসুফ আলী বলেন, মাথাব্যথার মত সাধারণ সমস্যাতেও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। মানুষ ইচ্ছেমতো তা কিনতে পারছেন। বিক্রিতে ফার্মেসীগুলো নিয়ম মানছে না। ফলে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এমনকি আইসিইউতে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়, সেটিও কাজে আসছে না। একারণে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। আগামী সংসদ অধিবেশনে পাস হবে আশা করি। একইসঙ্গে অবৈধ ফার্মাসীগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। উন্নত দেশে ফার্মেসী একই রকম হলেও আমাদের এখানে ফার্মেসীর পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যও চলে। তাই লাজ ফার্মার মতো মডেল ফার্মেসী ও মাননিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন ফার্মেসী ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে দুই কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হয়। দেশে হাতের কাছেই ওষুধ মেলে। আইনের দুর্বলতার কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছিনা। নতুন আইন হলে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। লাজ ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, লাজফার্মা লিমিটেড একটি প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বাধিক মানসম্মত ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। আমাদের মূল লক্ষ্য সেবা, ব্যবসা নয়। আমরাই দেশের প্রথম সার্টিফায়েড মডেল ফার্মেসি যারা নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করে। নিরাপদ ওষুধ নিশ্চিতে আমরা সামাজিক আন্দোলন করছি।
লাজ ফার্মার চেয়ারম্যান সৈয়দা মাহফুজা বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। লাজ ফার্মার কর্মীদের মনে রাখতে হবে কোনো ধরনের অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করা যাবে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী; পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম শমসের আলী; সাবেক সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান; সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান; একুশে পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ; ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান; কলামিষ্ট আবেদ খান; বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত গীতিকার মো. রফিকউজ্জামান; জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, এনডিসি; ইব্রাহিম কার্ডিয়াক ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী প্রফেসর ডা. এমএ রশিদ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ