রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুর শহরের পুরানবাজারের পশু জবাইখানা ও গোশত বাজারের বেহাল দশা থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। এতে চরম দুর্ভোগ নিয়েই পৌর নাগরিকদের দৈনন্দিন কাজে যেতে হচেছ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বার বার পৌরসভায় বিষয়টি জানালেও এখনো পর্যন্ত এই সমস্যা নিরসনে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তবে পৌর মেয়র রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে কেউ জোড়ালো প্রতিবাদও করতে সাহস পায় না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদারীপুর পৌরসভার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরানবাজারের পৌর মার্কেটের দক্ষিণপাশে মাংসপট্টি ও পশু জবাইখানা অবস্থিত। চরম অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে এই মাংস বাজারটি বসে। মাংস বাজারের পাশেই পশু জবাইখানা। পশু জবাইয়ের পরে যে সব বর্জ্য তৈরি হয় তার সবই পাশে স্তুপ করে রাখা হয়। পনের থেকে একমাসের মধ্যে একবার করে এইসব নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য অপসারণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতিদিনই পশু জবাই দেওয়ার কারণে অনেক বেশি পরিমাণে বর্জ্য স্তুপ আকারে এই মাংসের বাজারের পাশে জমা হয়। এতে পৌর নাগরিকরা অনেকটা বাধ্য হয়েই ময়লা আবর্জনার স্তুপের পাশে মাংস ক্রয় করতে যায়। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে অনেক বৃদ্ধ ও শিশুরা।
এই বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের আকতার মুন্সী বলেন, ‘আমি দুই কেজি গরুর গোশত কিনতে বাজারে আসছি। মাংসবাজারে মারাত্মক দুর্গন্ধ থাকায় বাধ্য না হলে মাংসবাজারে আসি না। কাঠপট্টি এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাই মাংস বাজারটা আর আধুনিক করল না। গন্ধে বাজারে ঢোকাই যায় না। পৌর মেয়রের উচিত দ্রুত এখানে একটি আধুনিক মানের মাংস বাজার তৈরি করা। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যেখানে বেশি আসা লাগে, পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত সেদিকে বেশি নজর দেয়া। এত দুর্গন্ধ থাকে যে, মাংস পট্টিতে ঢোকাই যায় না। ঢুকলেও দম বন্ধ করে রাখতে হয়।’
মাংস পট্টির কয়েক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাদারীপুর পৌর মেয়র আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের ছোট ভাই হওয়ায় তার স্থানীয় রাজনীতি পুরটাই নিয়ন্ত্রণ করেন মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ। তাই পৌর সভায় নানা দুর্ভোগ থাকলেও পৌরবাসী কোন সমস্যার বিষয়েই মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এই বিষয়ে মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এড. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘পুরান বাজারের মাংস পট্টিতে পৌর নাগরিকরা প্রতিদিনই যায়। মাংস কেনা কাটা করে। তাই ওখানের পশু জবাইখানা ও মাংসের বাজারটাকে উন্নত মানের যাতে করা হয়, পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আমি সেই দাবি করছি। এটি আসলে ছোট বিষয় হলেও অনেক গুরুত্ব বহন করে।’
এ বিষয়ে মাদারীপুর পৌর সচিব খন্দকার ইলিয়াস আহমেদ ফিরোজ বলেন, ‘আমরা দ্রুত একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি, যেখানে পুরানবাজারের গুরুত্বপূর্ণ মাংসপট্টি ও পশু জবাইখানাকে সংস্কার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।